• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

করোনার সালে ঘর ভেঙেছে যেসব তারকার


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২২, ২০২০, ০৩:০২ পিএম
করোনার সালে ঘর ভেঙেছে যেসব তারকার

ঢাকা: সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলায় নিত্যই ডুবে থাকে শোবিজ। করোনার বছরেও তার ব্যত্যয় হয়নি।চলতি বছর শোবিজের অনেক জনপ্রিয় তারকার সুখের সংসার ভেঙেছে। আবার অনেকেরই বিচ্ছেদ চূড়ান্ত না হলেও ঝুলে আছে আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। অনেকেই আবার স্বামী-সংসার কিংবা বউ ছেড়ে আলাদা থাকছেন। 

শবনম ফারিয়া:
২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপু। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই সম্পর্ক শিথিল হতে শুরু করে তাদের। অনেক দিন আলাদা থাকতেন দুজন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হলেন তারা।গত ২৭ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। 

স্বামীর সঙ্গে শবনম ফারিয়া

পরীমনি:
‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর তিন টাকা’-এভাবেই হঠাৎ বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। কিন্তু সেই বিয়েটা পাঁচ মাসও টিকলো না। চলতি বছরের ৯ মার্চ দিবাগত রাতে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে বিয়ে করেন পরীমনি। বর পরিচালক কামরুজ্জামান রনি। সে সময় পরীমনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘অনেক হিসাব–নিকাশ করে তো জীবনের পরিকল্পনা করাই যায়। কিন্তু জীবন চলে তার নিজস্ব পথে। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে সবই আল্লাহর হাতে-এটা আমি খুবই মানি। আমার কাছে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার ওপর নির্ভর করে মানুষ জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’

কিন্তু পরীর সেই সংসার এগুতে পারেনি। আগস্টে খবর আসে পরী আর রনির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে সেসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি পরীমনি। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বেশ কিছু সিনেমার শুটিং নিয়ে।

বিয়ের পর পরীমনি

শাবনূর:
স্বামী অনিককে ডিভোর্স দিয়ে ৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন চিত্র নায়িকা শাবনূর।
২০০৮ সালে ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অনিক নামে এক নবাগত অভিনেতার সাথে পরিচয় হয় ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূরের। পরিচয়ের সূত্রে প্রেম। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

কিন্তু সেই সংসার ভেঙে গেল আট বছরের মাথায়। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি বনিবনা না হওয়ায় অনিককে তালাক দেন শাবনূর। 

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে শাবনূর

অপূর্ব:
দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিলো জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তার স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতির। ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। শোবিজে তাদের আদর্শ দম্পতি হিসেবে দেখা হতো। ১৭ মে খবর পাওয়া যায় তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। হঠাৎ পাওয়া সেই খবরে চমকে গিয়েছিলেন সবাই। ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিজেরাই জানিয়েছেন অপূর্ব ও অদিতি। ১৭ মে রাতে এক ইংরেজি স্ট্যাটাসে অপূর্ব ডিভোর্সের কথা স্বীকার করে তার জন্য এবং সাবেক স্ত্রী অদিতি এবং তাদের সন্তানের জন্য দোয়া চান।

প্রসঙ্গত, অদিতি ছিলেন অপূর্ব’র দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে অপূর্ব সংসার পেতেছিলেন অভিনেত্রী প্রভার সঙ্গে।

একমাত্র ছেলের সঙ্গে অপূর্ব-অদিতি

নায়িকা মুনমুন:
ঢাকাই সিনেমার সমালোচিত চিত্রনায়িকা মুনমুনের দ্বিতীয় সংসার ভেঙে গেছে। তার দ্বিতীয় স্বামী মীর মোশাররফকে তিনি চলতি বছরের আগস্টে ডিভোর্স দিয়েছেন। দশ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা। খোঁজ নিতে গেলে বেশ সুখী দম্পতি হিসেবেই তাদের নাম শোনা যেত। নানা অনুষ্ঠানে স্বামীকে নিয়ে আসতেন মুনমুন। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সিনেমার মানুষদের সঙ্গে। দুটি সন্তানও রয়েছে। বোঝা যেত সংসারের প্রতি বেশ মনোযোগী চিত্রনায়িকা মুনমুন।

সেই সংসার টিকলো না। স্বামী মীর মোশাররফ হোসেন রোবেনের নির্যাতন ও স্বার্থপরতার শিকার হয়ে তাকে তালাক দিয়েছেন ‘রানি কেন ডাকাত’খ্যাত এ নায়িকা। চলতি বছরের কোরবানি ঈদের পরদিন ২ আগস্ট তালাক কার্যকর হয়েছে।

মুনমুন ও তার স্বামী

এর আগে নায়িকা মুনমুন ২০০৩ সালে সিলেটের একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে সেই সংসার ভেঙে যায় মুনমুনের।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!