ঢাকা: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল পূর্ণ করলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনন্য এই মাইলফলক ছুঁলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। টার্নারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টির ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন এক বিরল রেকর্ড গড়লেন। যেটার মালিক এখন শুধুই সাকিব।
৯৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন তিনি। ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করে এগিয়ে যান এক ধাপ। পরে অ্যাশটন টার্নারকে নিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন। হাজার রান পেরিয়ে গেছেন তিনি বেশ আগেই। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত টেস্টে এই ‘ডাবল’ অর্জন করেছেন ৭১ জন, ওয়ানডেতে ৬৫। দুই সংস্করণেই আলাদাভাবে করতে পেরেছেন ২৪ জন অলরাউন্ডার। বলাই বাহুল্য, তিন সংস্করণে সাকিবই প্রথম!
সাকিবের আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে কেবল একজনেরই, লাসিথ মালিঙ্গা। সাবেক এই লঙ্কান পেসার রান করতে পেরেছেন কেবল ১৩৬।
এই সংস্করণে ১ হাজার রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শহিদ আফ্রিদির, ৯৮টি। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন বেশ আগেই। হাজার রান করাদের মধ্যে এরপর সবচেয়ে বেশি উইকেট ডোয়াইন ব্রাভোর ৭৬, মোহাম্মদ নবির ৭২ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৬০।
ব্রাভো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে। হাফিজেরও সেটিই করার কথা। সাকিবের মতো ডাবল অর্জনের বাস্তব সম্ভাবনা আপাতত আছে নবির। তবে এই আফগান অলরাউন্ডারের বয়সও ৩৬ পেরিয়ে গেছে বেশ আগেই।
সাকিবের পর একশ টি-টোয়েন্টি উইকেটের ছোঁয়ার দৌড়ে আছেন টিম সাউদি (৯৯ উইকেট) ও রশিদ খান (৯৫)। তবে ব্যাট হাতে হাজার রান তাদের এখনও যোজন যোজন দূরে। সাউদির রান মোটে ২৪৯, রশিদ খানের ১৭৯। এই ডাবলের রেকর্ড তাই আগামী কয়েক বছর সাকিবের দখলেই থাকছে এটা নিশ্চিত।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :