ঢাকা : বিংশ শতাব্দীর শুরুতে রিয়ালে তারার মেলা বসিয়ে আধুনিক ফুটবলে গ্যালাক্টিকোর জন্ম দিয়েছিলেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ইকার ক্যাসিয়াস-রবার্তো কার্লোস-গুতি-রাউল গঞ্জালেসদের সাথে সময়ের সেরা তারকা লুইস ফিগো, জিনেদিন জিদান, রোনালদো নাজারিও-ডেভিড ব্যাকহাম-মাইকেল ওয়েনদের এক করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল সভাপতি।
মাত্র এক দশকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো তারার হাট বসেছিলো এই রিয়ালেই। ২০০৯ থেকে ১৪। মাত্র ৫ বছরে, কাকা-রোনালদো-মেসুত ওজিল-করিম বেনজেমা-জাবি আলোনসো-আনহেল দি মারিয়া-টনি ক্রুস- লুকা মদ্রিচ-গ্যারেথ বেল-হামেস রদ্রিগুয়েজকে নিয়ে ট্রান্সফার মার্কেটে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলো রিয়াল।
পেট্রো ডলারের বন্যা বইয়ে এবার ফুটবল বিশ্বে নতুন গ্যালাক্টিকোর আবির্ভাব ঘটিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। কে নেই পিএসজিতে? সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার। আগামীর সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে। রক্ষণের অতন্দ্র প্রহরী সার্জিও রামোস। ইউরোপ সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। ডি মারিয়া-আশরাফ হাকিমি-মার্কো ভেরাত্তি-উইনালদম-মার্কুইনহোস-কিম্বেপ্পেরা তো আছেনই।
তবে অতি সন্ন্যাসিতে গাজন নষ্টের উদাহরণ চোখের সামনেই পিএসজির। হেভিওয়েট স্পন্সরদের লাইন দীর্ঘ করে বিজ্ঞাপনের বাজারে ঝড় তুললেও রোনালদো-জিদান-বেকহামদের নিয়ে রিয়ালের গ্যালাক্টিকো খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেনি ইউরোপিয় ফুটবলে। একসাথে এতো তারকার ব্যবহার কিভাবে করবেন মাউরিসিয়ো পোচেতিনো?
এমবাপ্পেকে ধরে রাখতে পারলে লা পারিসিয়ানদের ফ্রন্ট লাইন চূড়ান্তই। ফরাসি স্পিডস্টারের সাথে উইংয়ে প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তার জন্য যথেষ্ট মেসি ও নেইমার। বন্ধু মেসির জন্য নিজের প্রিয় পজিশন ছেড়ে মিডফিল্ডে নেমে যেতে হতে পারে ডি মারিয়াকে।
ডান পাশে আশরাফ হাকিমি আর মাঝখানটা সামলাবেন মার্কো ভেরাত্তি ও জর্জিও উইনালদম। ৩-৪-৩ ফরমেশনে রক্ষন সামলাবেন রামোস-মার্কুইনহোস ও কিম্পেম্বে। পচেত্তিনোর ফেভারিট ৪-৩-৩ ছকে হাঁটলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে একাদশে প্রাধান্য পেতে পারেন লিওনার্দো পারেদেস।
সাইড বেঞ্চে বিকল্পের কমতি নেই পিএসজির। কেইলর নাভাস, মাউরো ইকার্দি, পাবলো সারাবিয়া, হুলিয়ান ড্রাক্সলার, আন্দের হেরেরা, রাফিনহা, কুরজাওয়া, হুয়ান বার্নেট-দিয়ালো, কেহরের, কালিমুয়েন্দোরা পচেত্তিনোকে স্বস্তি যোগাতে যথেষ্ট।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :