ঢাকা: জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে টাইগাররা। চেষ্টা করেও সফল হলেন না নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষের রোমাঞ্চের পর বাংলাদেশ পেয়ে গেল টানা দ্বিতীয় জয়।
ল্যাথামের ব্যাটে ভর করে শেষ দিকে ২ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল কিউইদের। শত চেষ্টা করেও কিউইদের মুখে শেষ হাসি ফোটাতে পারলেন না ল্যাথাম। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৬৫ করে। বাংলাদেশ জিতল ৪ রানে। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৩৭ রানে।
শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। দলের সেরা পেসার হিসেবে হতাশ করেননি ফিজ। শেষ ওভারে কাটার মাস্টার দিলেন ১৫ রান। এতেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সিরিজের সমীকরণ ২-০।
আরো পড়ুন : টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হতে সাকিবের চাই ‘১’
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে মন্থর পিচে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২। লিটন-নাঈম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৩৭ রান করে।
রবীন্দ্রকে ফেরান সাকিব
১৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। সাকিবের ওভারে ছক্কা মারার পর আবারো চড়াও হতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র। কিন্তু সাকিবের বল ব্যাট প্যাডে লেগে স্টাম্পে লেগেছে তার।
ব্লান্ডেলকে বিদায় করেন মেহেদী
মেহেদীর বলে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হলেন টম ব্লান্ডেল। ৬ রান করে ফিরেছেন ব্লান্ডেল। বল উইকেটে পড়ে উল্টো দিকে ঘুরেছে।
ব্রেকথ্রু দিলেন সাকিব
অবশেষে জুটি ভাঙলেন সাকিব। টম ল্যাথামের সঙ্গে উইল ইয়াংয়ের জুটি টানছিল নিউজিল্যান্ডকে। ইয়াংকে ফিরিয়ে ৪৩ রানের জুটি ভাঙলেন সাকিব। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন ইয়াং, ২৮ বলে ২২ রান করে। ৬১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
গ্র্যাডহোমকে ফেরালেন নাসুম
১৫তম ওভারে নাসুমকে বোলিংয়ে এনেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে সফলও তিনি। নাসুমের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ডি গ্র্যান্ডহোম (৮ রান)।
নাসুমের ফুল লেংথের বলটা মারার মতো জায়গাতেই ছিল। ডি গ্র্যান্ডহোম শট খেলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটি সোজা চলে গেল ডিপ স্কয়ার লেগে মুশফিকুর রহিমের হাতে।
দ্রুতই ফিরে গেছেন নিকোলস
১৬তম ওভারে মেহেদী হাসানকে বোলিংয়ে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু প্রথম বলেই মেহেদী দিলেন চার রান। দারুণ সুইপে বল বাউন্ডারি-ছাড়া করেন একটু আগেই ক্রিজে আসা হেনরি নিকোলস। কিন্তু এক বল পরই জবাব দিয়েছেন মেহেদী। এবারও সুইপ করেছেন নিকোলস, কিন্তু এবার বলে একটু বাড়তি বাউন্স করালেন মেহেদী। নিকোলসের ব্যাটের কানায় লেগে বল ভাসল বাতাসে, লং লেগে জমা পড়ল মুশফিকের হাতে।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :