• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

এবার আর হায়ারে খেলবে না বিএনপি


বিশেষ প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৩:৫২ পিএম
এবার আর হায়ারে খেলবে না বিএনপি

ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেটে নিয়ে কর্মসূচি ঠিক করতে এরই মধ্যে মনোযোগ দিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এক যুগের বেশি সময় আগে এক-এগারোর মধ্য দিয়ে যে বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির জালে নিপতিত দলটির বন্ধুর পথ এখনো মসৃণ হয়নি। বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্যে যেন কোনো রকমে টিকে থাকা। 

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে সংস্কারের হাওয়া

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই রাজনৈতিক দলটি এত দীর্ঘসময় কখনো ক্ষমতার বাইরে থাকেনি। তবে এবার যে কোনো মূল্যে ঘুরে দাঁড়াতে চায় দলটি। অতীতের সব ব্যর্থতার গ্লানি মুছে রাজনৈতিক কৌশলেই ক্ষমতার মসনদে বসার চিন্তা তাদের। 

আরও পড়ুন: একটি কৌশলে মিল দু’দলে

দলের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হলেও, এবার আর কোনো ব্যর্থতা নয়। যৌক্তিক সব আহ্বান প্রত্যাখ্যান করায় সরকারকে এক চুল ছাড় না দেওয়ার পক্ষে বিএনপি নেতারা।

আরও পড়ুন: প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো 

আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের বাইরে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ২০০৭ সাল থেকে লন্ডনে থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে নেতা হিসেবে হায়ার করেছিল বিএনপি। সেই ফল দলের জন্য ভালো হয়নি বলেই মনে করেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আরও পড়ুন: ‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ তকমা ঘোচাতে চায় নেতাকর্মীরা

তাই বড় দল হিসেবে বিএনপিকেই সবকিছুতে নেতৃত্বে থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন- এবার আন্দোলন কিংবা নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সামনে রেখেই করতে হবে। ২০১৮ সালের মতো আর নেতা ‘হায়ার’ করা যাবে না।

আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে কাজ শুরু করেছে আ.লীগ

দলের বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব হায়ার করতে হয়েছিল আমাদের। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। আমাদের দলের প্রাণ হলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক। তাদের সামনে রেখেই আমাদের চলতে হবে। নেতা জেলে থাকলেই তাকে বাদ দিয়ে এগোতে হবে- এমন ধারণা ঠিক নয়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়েছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে কি আওয়ামী লীগ এগিয়েছিল? আমরাও আন্দোলন-সংগ্রাম করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে চাই। আমাদের নেতৃত্ব হায়ার করার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

আরও পড়ুন: ঘর গোছানোর পাশাপাশি শরিক বাড়ানোর চিন্তা আ.লীগের

বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘টানা তিন দফায় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। স্বাভাবিকভাবে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক; কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না। দলটিতে সংকটের বড় কারণ নেতৃত্বের ব্যর্থতা। বিশেষ করে সিনিয়র নেতারা দল পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৪ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি

‘তারেক রহমান লন্ডনে থাকায় যোগাযোগটাও সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে বেগম জিয়া ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। নেতাকর্মীরা চাইলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। তার মধ্যে আছে সরকারের রোষানল, মামলা-হামলার কারণে নেতাকর্মীরা আছেন বেকায়দায়। অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। আর দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারলে দলটির জন্য ভালো তো বটেই, দেশের জন্যও ভালো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়তে পারে। তাই এ ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কৌশলী হতে হবে দলটিকে।’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!