• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রুশ হামলায় মারিউপোলে নিহত বেড়ে ৫ হাজার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২৯, ২০২২, ০৯:৩৫ এএম
রুশ হামলায় মারিউপোলে নিহত বেড়ে ৫ হাজার

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা : ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। মারিউপোল শহরের মেয়রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরটির মেয়রের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরু থেকে মারিউপোল শহরে প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২১০ জন শিশুও রয়েছে।

এছাড়া মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে ইউক্রেনীয় বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন জানিয়েছে, রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যে অনেকে বের হয়ে আসতে পারলেও রোববার পর্যন্ত মারিউপোল শহরে এখনও ১ লাখ ৭০ হাজার বাসিন্দা অবস্থান করছিলেন। এতে আরও বলা হয়েছে, রুশ হামলায় শহরের বহুতল আবাসিক ভবনগুলোর ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এর মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইউক্রেনীয় ওই বার্তাসংস্থার দাবি, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অনবরত হামলায় ৭টি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া একই কারণে মারিউপোলের ৫৭টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৩টি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে মারিউপোল শহর থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে জোর করে রুশ ভূখণ্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে গত রোববার রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কিয়েভ। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় এই শহরটি রুশ হামলায় বিধ্বস্ত এবং প্রায় এক মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রুশ সেনারা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে- মারিউপোল থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে বেজিমেনে নামক স্থানে একটি অস্থায়ী শিবিরে আনুমানিক ৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।

অবশ্য রাশিয়ার এলাকায় ঠিক কত মানুষ স্বেচ্ছায় গেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ইউক্রেনীয়দের অনেকের রাশিয়ায় আত্মীয় রয়েছে। আর তাই রুশ ভূখণ্ডে সরিয়ে নেওয়া বা নির্বাসিতদের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

রাশিয়া অবশ্য হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। এছাড়া এ ধরনের জবরদস্তিমূলক নীতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনেরও লঙ্ঘন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।

উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মারিউপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!