• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সেই শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে যা বললেন পুলিশ সুপার


নাটোর প্রতিনিধি আগস্ট ১৪, ২০২২, ০১:৩১ পিএম
সেই শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে যা বললেন পুলিশ সুপার

ছবি : সংগৃহীত

নাটোর : প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষিকা ও ছাত্রের প্রেমের কাহিনী ছড়িয়ে পড়লে দুজনই বিষয়টিকে পজিটিভ নিয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক, পারিবারিক এবং কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তাদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি বহুল আলোচিত-সমালোচিত হয়। মানসিক চাপের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখছি বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার। 

আরও পড়ুন : মন্তব্যই কী গন্তব্য আটকে গেলো মামুনের!

এর আগে সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

আরও পড়ুন : ছাত্রকে বিয়ে করা সেই কলেজ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত করলেই সত্যিকার কারণ উদঘাটন হবে। এই ঘটনা কঠিনভাবে তদন্ত করা হবে। মহিলা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। 

আরও পড়ুন : ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

উল্লেখ্য, গত এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। 

কিন্তু বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয়েছিল রাজশাহী বাঘায়। সেখানে পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!