নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জিহাদ (৩০), ফারুক (৩০), নবীর উদ্দিন ওরফে হোন্ডা নবীর (৩২), আলমগীর হোসেন (৪০) ও আবু তাহের (২৭)। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার চানন্দী ইউনিয়নে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করেন।
এ সময় আলমগীর হোসেন বলেন, নারী নির্যাতনের যে ঘটনাটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে, সে বিষয়ে হওয়ার ভাইরালের আগেই জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি অভিযোগ দিয়েছিলেন এবং সেটা হাতিয়ার সার্কেল অফিসার তদন্ত করছেন। আমি যেটা সরেজমিনে সুপারভাইজ করতে গিয়ে পেয়েছি যে, সেটা হলো ‘অনৈতিক কাজের’ দোষারোপ করে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক একজন পুরুষকে টেনে হিঁচড়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এরপর নারী এবং পুরুষ দুজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
পুলিশ সুপার বলেন, এটি যেহেতু একটি অপরাধ, সেজন্য যাকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই পল্লী চিকিৎসক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এখানে ১১জন আসামীর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং মামলাটির তদন্ত চলছে। আর নারী নির্যাতনের পিটিশন মামলায় সার্কেল অফিসার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
তিনি আরো বলেন, তাদেরকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধেও মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে রোববার জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে নির্যাতনের শিকার ওই পল্লী চিকিৎসক বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে।
সোনালীনিউজ/এমআই/এসআই