সুনামগঞ্জ: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের ওয়াজ মাহফিলে লাখো মানুষের ঢল নামে। এ মাহফিলের নিরাপত্তায় ছিলেন দুই শতাধিক যুবক।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় উত্তর খুরমা ইউপি জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার রাত ৯টা থেকে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক অতিথি হিসেবে তার বয়ান শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টা পর বয়ান শেষ করেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, সরকার আলেম-ওলামাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ প্রতিরোধ করতে চেয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি আমি।
মাওলানা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদের পরিচালনায় এ মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ মহাসম্মেলনের নিরাপত্তায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক সদস্যবিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মামুনুল হকের ওয়াজ শুনতে শিশু থেকে শুরু করে নানা শ্রেণির লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন তার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার সকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে হেফাজত নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আগমন উপলক্ষে চেকপোস্ট বসিয়ে ছাতকে প্রবেশকারী গাড়িগুলো তল্লাশি করেছে সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাহেব আলী পাঠানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
শনিবার ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হওয়ার আগে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজনকারীদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে হেফাজত নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হককে প্রশাসন অনুমতি দেয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ জানান, রাজনৈতিক, সামাজিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীসহ ওয়াজ মাহফিলে আগত সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করে তোলায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মাহফিল শেষ হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মাহফিল শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের মাহফিল ঘিরে পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোনালীনিউজ/এইচএন