বগুড়া: বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছিল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সেখানে হানা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বন্ধ করে দেয়া হয় বিয়ের সব আয়োজন। কারাদণ্ড দেয়া হয় বরসহ তিনজনকে। ফলে বিয়ের আসর থেকে ওই বরের ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাছুদুর রহমান। দেশব্যাপী লগডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছিল। বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে তিনজনকে কারাদণ্ড ও চারজনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চালিয়ে কাজি আবদুল গফুরকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বর মোমিন মণ্ডল ও কনের ফুফা রফিকুল ইসলামকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মোমিন মণ্ডল নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। কাজি আবদুল গফুরের বাড়ি কাহালু উপজেলার সদর ইউনিয়নের আখুঞ্জা গ্রামে। অর্থদণ্ড পেয়েছেন কনের ফুফু খালেদা বেগম, বর মোমিনের দুলাভাই জাহাঙ্গীর আলম ও দাদা আনিছুর রহমান ও চাচা সেকেন্দার।
খালেদাকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর ও আনিছুরকে ৩ হাজার করে ও সেকেন্দারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মো. মাছুদুর রহমান বলেন, ‘বাল্যবিবাহের আসরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে কারাদণ্ড ও চারজনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সোনালীনিউজ/এসএন