রূপগঞ্জ : সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (১১ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অন্যদিকে ভবনটির পরতে পরতে অনিয়ম পাওয়া গেছে। মূলত অগ্নিনির্বাক বা নিরাপত্তাজনিত কোনো বালাই ছিল না। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ছিল যেন মৃত্যুপুরী। পাশাপাশি নিয়ম ভঙ্গ করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক দিয়েও করানো হচ্ছিল কাজ। এছাড়াও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার উৎসের সন্ধানে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলে জানা গেছে।
হাসেম ফুড লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৮ : সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবুল হাসেমের চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীমও রয়েছেন। অন্য তিনজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, হাসেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও অ্যাডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৯। মামলায় এই আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সর্বশেষ খবরে ওই আট আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি : শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে কারখানাটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারা দেশ এ ঘটনায় স্তব্ধ। একসঙ্গে এতজনের প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক। প্রথমে তিনজন পরবর্তীতে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিস কিছু জীবিতদেরও উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কারখানায় কতজন লোক কাজ করত, সবই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতা করা হয়েছে। আরো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
মামলা ও দোষীদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই মামলা হবে, এর সঙ্গে সামান্যতম দোষীদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত শেষে অবশ্যই তাদের বিচার হবে।
কারখানায় শিশুশ্রমের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কতজন শিশুশ্রমিক ছিল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানা ভবনের ছাদ আটকানো ছিল এবং সিঁড়িতে তালা দেওয়া ছিল-এবিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৭ জনকে ছাদ থেকে বড় একটি মই দিয়ে রেস্কিউ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সিঁড়িতে ও ছাদে তালা দেওয়া ছিল কি-না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
ভবন নয় যেন মৃত্যুপুরী : সরেজিমনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানার নিচতলা থেকে ভবনের ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত পুড়ে ছাই। দুর্ঘটনার তৃতীয় দিনেও হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কেউ আসেনি কারখানায়। কর্মীরা কেউই আসেনি অফিসে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আসেননি। স্বজনদের আনাগোনা এখানেও সেভাবে নেই। তারা এখন হাসপাতালমুখী।
দেখা যায়, যে ফ্লোরেই আগুন প্রথমে লাগুক, অন্য ফ্লোরে যেতে সময় নিয়েছে নিশ্চিত। তার পরেও শ্রমিকরা ছাদে বা নিচে নেমে আসতে না পারার পেছনে একটি কারণই উঠে এসেছে। সেটি হলো ফ্লোরে ফ্লোরে তালা।
গত শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেই শ্রমিকরা অভিযোগটি জানিয়েছিলেন। আর দুই দিনের প্রাথমিক তদন্ত শেষে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও এখন একই কথা বলছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক অপারেশন তানহা জানান, সবকটি ফ্লোরেই সিঁড়ির সামনে লোহার তারের পার্টিশন দেওয়া আছে। উৎপাদনরত অবস্থায় এসব ফ্লোরগুলোর পার্টিশন তালাবদ্ধ থাকায় আগুনের সময় শ্রমিকরা উপরে যেতে পারেননি, নিচেও নামতে পারেননি বলে মনে হচ্ছে। এ কারণে মৃতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।
বাংলাদেশে পোশাক খাতে মর্মান্তিক নানা দুর্ঘটনার সময়ও একই বিষয় উঠে এসেছে। ফ্লোরে ফ্লোরে তালা দেওয়া থাকায় কর্মীরা নিরাপদে নামতে পারে না। আর আগুন লাগলে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অভয় দিয়ে কর্মস্থলে থাকতে উৎসাহ দেয়। আর সেই তালাই পরে মৃত্যুর কারণ হয়।
২০১২ সালে তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে ১১২ শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনাতেও একই ঘটনা দেখা গেছে। তালাবদ্ধ কক্ষে শ্রমিকরা পুড়ে অঙ্গার হয়েছে। কিন্তু ফ্লোর ইনচার্জরা ধমকে শ্রমিকদের কক্ষে থাকতে বাধ্য করেছে।
একই রকম অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানার আগুনের ঘটনাতেও। শ্রমিকরা বলছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য ভবনের ছাদে উঠতে গিয়ে সিঁড়ির গেটে তালা দেখেছেন তারা।
একটি ঘরে শ্রমিকদের তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেছে কারখানার একজন শিশু শ্রমিকও।
ঘটনাস্থলে গবেষক মাহতাব উদ্দিনের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয় ফাতেমা। সে তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু চতুর্থ তলায় থাকা তার বোন আর ফেরেনি।
ফাতেমার বর্ণনা ছিল এমন, আমি আমার বইনের খোঁজ নিছি। তারপরে শুনি, চাইরতলায় নাকি এসি রুমের ভেতরে তালা লাগায়া রাখছে। অনেক মানুষে বলছে তালাটা খোলো। তালা খোলে নাই। মালিকে নাকি কেডা নাকি অর্ডার দিছে তালা লাগায়া রাখতে।
কারখানায় অব্যবস্থাপনার ছাপ : ভবনের চারপাশে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার ছাপ চোখে পড়েছে। একটি কমপ্লায়েন্ট কারখানা বলতে যা বুঝায় তার ছিটেঁফোঁটাও ছিল না সেখানে। পুরো ভবনটি মৃত্যুপুরী ভেবেও কাজ করে যাচ্ছিল প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক।
চারদিকে ইট, বালু, সিমেন্ট, ড্রাম, রাসায়নিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের বস্তা, কার্ড এবং প্লাস্টিকের বিভিন্ন রকম কার্টন ও অব্যবহূত আসবাবপত্রের স্তূপ দেখা গেছে। ভবনের সবকটি ফ্লোর এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ফ্লোরে ফ্লোরে এখনো নিভে যাওয়া আগুন থেকে তীব্র ধোঁয়া এবং তাপ বের হচ্ছে। আছে উৎকট ঝাঁঝালো গন্ধও। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছে যেন আবার আগুন ছড়াতে না পারে।
তৃতীয় দিনে কোনো ফ্লোরে নতুন করে কোনো মরদেহ চোখে পড়েনি। ফলে যে ৫১ জন নিখোঁজ হওয়ার কথা বলাবলি হচ্ছিল, তাদের ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তল্লাশি চলছে আরো মরদেহের খোঁজে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ আগে কারখানার শ্রমিকরা বেতনের জন্য আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের এক সপ্তাহ পর এমন ভয়াবহ আগুন এ দুইয়ের মাঝে কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা বলে জানা গেছে।
এত আগুন দাহ্য পদার্থের কারণে : গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন শুক্রবার রাতেও পুরোপুরি কেন নেভানো যায়নি, সেটি ফ্লোরে ফ্লোরে মজুত দেখেই বোঝা যায়। যেসব পণ্য ছিল, তার সবই দাহ্য। ছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, যা আগুন আরো ছড়িয়ে যেতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
ভবনের ছয় তলায় ছিল পুরো কার্টনের গুদাম। আর পঞ্চম তলায় রাখা হতো বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্লাস্টিক মোড়ক।
চতুর্থ এবং তৃতীয় তলায় উৎপাদিত হতো সেজান জুসের বিভিন্ন পণ্য। তবে পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পাশেই সারি সারি রাখা ছিল পণ্যভর্তি কার্টন।
এই দুই ফ্লোরের তৃতীয় তলায় ক্যান্ডি লাইন নসিলা উৎপাদনের প্লান্ট। এ ফ্লোরে ছিল যাবতীয় ফ্লেভার, সুগার গ্লুকোজ কার্টন কেমিকেল ও মোড়ক উৎপাদনের পলি।
চতুর্থ তলায় স্টোরসহ লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর ঝাল মুড়ি তৈরি হতো। তবে এই ফ্লোরে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন এবং ডাল ছিল। এর সবই পুড়ে গেছে। নিচ তলায় ছিল কার্টন এলডিপি বা প্লাস্টিকের পলি উৎপাদন প্লান্ট। এখানে আরেকটি স্থানে প্রসেস করা হতো ময়দা, ছিল কমেপ্রসার মেশিন। রাখা ছিল ফয়েল পেপারের বড় বড় রোল। ছিল আঠা জাতীয় রাসায়নিক।
গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছিল সব ড্রিঙ্কস ও বিস্কুট উৎপাদন প্ল্যান্ট। এখানে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল।
দ্বিতীয় তলায় লিচু ড্রিঙ্কস ও লাচ্ছি তৈরি হতো। তৈরি হতো এসব পণ্যের প্লাস্টিক বোতলও। ছিল প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল রেজিন-এর মতো দাহ্য পদার্থও।
মূলত পঞ্চম ও ষষ্ঠ দুটি ফ্লোরে গুদাম হিসেবে রাখা হলেও সবকটি ফ্লোরেই ছিল রাসায়নিক ও কার্টনের মতো দাহ্য পদার্থের বিপুল মজুত।
৪৮ জনের ডিএনএ সংগ্রহ : মৃত ব্যক্তিদের শনাক্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫ মৃতদেহের বিপরীতে ৪৮ জন নিকটতম স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরকারি ডিএনএ এনালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ কাজ শুরু করেছি।
শনিবার (১১ জুলাই) দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৫ জন মৃত ব্যক্তির বিপরীতে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের নমুনা সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। যারা মৃত ব্যক্তিদের স্বজন বলে দাবি করবেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
কতদিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাধারণত ডিএনএ নমুনার ফল পেতে ২১ থেকে ৩০ সময় প্রয়োজন হয়।
এ সময়ের মধ্যে সংরক্ষণ করা ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে। নিহত শ্রমিকের মরদেহ দ্রুত দাফনে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ।
তিনি বলেন, জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ইতোমধ্যে ১৫টি মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি মরদেহ রাখা হচ্ছে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে। মরদেহগুলো আপাতত মর্গে রাখা হলেও দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা না করা হলে পচে-গলে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাবে।
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কীকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।
কারখানার সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ থাকায় মৃতের সংখ্যা এত বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
গত শুক্রবার দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, আগুনে পুড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই