মুন্সিগঞ্জ : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের আজও চাপ রয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিধিনিষেধ শিথিলের আজ দ্বিতীয় দিন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছে। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে যোগে পদ্মা পারাপার করছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে থেমে থেমে বাড়ছে চাপ।
এদিকে গনপরিবহন ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়া ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৬শতাধিক ব্যাক্তিগতগাড়ি ও পন্যবাহী ট্রাককে। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যাক্তিগত ও গনপরিবহনে আসা যাত্রীদেরও নদীর পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে । তবে লঞ্চ গুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষেন চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এবিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পন্যবাহী মিলিয়ে ৬শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গনপরিবহন ও প্রচুর ব্যাক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পন্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই