ঢাকা : ঘড়ির কাটা তখন রাত ১২টা ছুঁই ছুঁই। করোনায় আক্রান্ত মোছা. খাদিজা বেগমের (৫০) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ঘরে নেই অক্সিজেন সিলিন্ডার অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ঈদের দিন হওয়ায় এত রাতে দোকানপাট সব বন্ধ।
মায়ের শ্বাসকষ্ট দেখে উপায়ন্তর না পেয়ে ছেলে আসিফ ইকবাল (৩৬) ফোন দেন চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায়। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে থানা থেকে পুলিশ সদস্য হাজির হন তাদের বাসায়। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে থানার পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে করোনা আক্রান্ত খাদিজা বেগমের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় তার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। তার পরিবার থেকে থানায় কল দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করি।
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার নজুল মিয়া লেনে বাস করেন খাদিজা বেগম। তার সঙ্গে ছেলে আসিফ ও স্বামী সুলতান মিয়াও করোনায় আক্রান্ত। তাদের বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল না। পরে পুলিশের দেওয়া সিলিন্ডারের মাধ্যমে খাদিজাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, করোনা আক্রান্ত কারও জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন প্রয়োজন হলে পুলিশের পক্ষ থেকে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হবে।
করোনায় সাধারণ মানুষের অক্সিজেন ঘাটতি মেটানোর জন্য সিএমপিতে অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে তুলেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যে কেউ ফোন করলে বিনামূল্যে পুলিশ সদস্যরা বাসায় অক্সিজেন পৌঁছে দেন। সিএমপির ১৬ থানাতেই এ কার্যক্রম চালু আছে।
সোনালীনিউজ/এসএন