কিশোরকে পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন, অতঃপর মৃত্যু

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০২:৩১ পিএম
ছবি : নিহত জিসান মিয়া

গাজীপুর : ময়মিনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শিকার জিসান মিয়া (১৬) নামের এক কিশোর। ইজিবাইক চুরির অভিযোগে পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন করা হয় তাকে । 

গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে একটি ইজিবাইক চুরির অভিযোগে তাকে মারধর করা হয় এবং পানিতে ডুবিয়ে নির্যাতন করা হয়।

নিহত জিসান মিয়া ময়মনিসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। জিসানের মা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সেখানে ভবানীপুর বাজারে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নাছিম আহমেদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, জয়দেবপুর থানা থেকে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। কিশোরের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যোগাযোগ করলেই ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট জিসান জয়দেবপুরের ভবানীপুর বাজারের একটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি ইজিবাইকে উঠে বসেন তিনি। এতে ইজিবাইকটি রাস্তার ঢাল বেয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। এসময় কাছাকাছি থাকা ইজিবাইকটির চালক দৌড়ে এসে জিসানকে চোর বলে বেদম মারধর করেন। পরদিন সকালে ওই ইজিবাইক চালকের স্বজনরা জিসানকে গজারি বনের ভেতরে ডেকে নিয়ে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় জিসানকে একটি ডোবার পানিতে চুবিয়ে ধরেন তারা। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে পালিয়ে যান তারা।

পুলিশ আরও জানায়, খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন জিসানকে গুরুতর অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর মারা যান জিসান।

সোনালীনিউজ/এসএন