কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
করোনায় গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ১৯ দফা শর্ত দিয়ে দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দিলেও উপজেলা সদরের হোসেনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করেই পাঠদান শুরু করেন প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ উদ্দিন। প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কয়েকজন সহকারি শিক্ষক তাকে অবহিত করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ফলে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কয়েকজন সহকারি শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরত থাকেন৷
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থার্মোমিটারে তাপমাত্রা না মেপেই অবাধে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে, প্রবেশ পথে ব্যবস্থা নেই কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার কোনো সুব্যবস্থা,শ্রেণি কক্ষে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চালানো হচ্ছে পাঠদান।স্কুলের আঙিনার ঝোপ ঝাড়ও পরিষ্কার করা হয় নি যা থেকে হতে পারে ডেঙ্গু রোগ। ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মুখেই নেই মাস্ক।
এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্কুলে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা হাত ধৌত করারও তেমন ব্যবস্থা নেই।এছাড়াও মাস্ক পরিধান না করলেও তেমন জোড় দেয়া হচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে৷ ফলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক নিয়েই তাদের স্কুল আসতে হচ্ছে৷
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আয়নাল হক ও মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনেই প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হলেও তিনি স্বাস্থ্যবিধির উপর জোড় দিচ্ছেন না। অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি না থাকায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আমরা কয়েকজন শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে কোনো আইশোলেশন সেন্টার না রাখারও অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো.ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস চালাচ্ছি৷ থার্মোমিটারে তাপমাত্রা মাপা কিংবা মাস্ক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি এগুলো এড়িয়ে যান।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান,প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পরও এখনো কেন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত হয়নি তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনালীনিউজ/এসএন