কুড়িগ্রাম : উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রাম। করোনাকালীন জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮৫ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কমে যাওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সচেতন মহলের দাবি, দারিদ্র্যতা, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে বাড়ছে। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক মুহা. মতিউর রহমান খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৮৫ জনের বাল্যবিয়ে হয়েছে। বিয়ের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খয়বর আলী জানান, করোনার কারণে আমার ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। আমরা এ জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে পাড়া-মহল্লায় মতবিনিময়সহ সচেতনমূলক প্রচার চালানো হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আব্দুল হাই জানান, বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাল্যবিয়ের তথ্যটি পেয়েছি। এ উপজেলায় ৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়াতে শিক্ষকদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৫ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি শুনেছি। বাল্যবিয়ে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করছি।
সোনালীনিউজ/এসএন