যশোর : ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন নির্বাচন থেকে সরে রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন। দলীয় নেতাদের দোষারোপ করে রাজনীতিকে বিদায় জানান তিনি।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যার চেষ্টাও হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে কামাল হোসেন লেখেন, নেতাদের পথ পরিষ্কার করার জন্য বাধ্য করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। জানি না নেতাদের আমাকে নিয়ে কী আশা। তবে মনে হচ্ছে আমাকে দিয়ে মাঠে খেলানো হচ্ছে। কিছু বড় ভাইয়েরা চেয়েছে আমাকে সরিয়ে অন্যকে বিজয়ী করতে। অবশেষে বুঝেছি আমার ভাইকে হত্যা করিয়েও আশা মেটেনি। তাই চেয়েছিল এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকেও হত্যা চেষ্টার। জানি না মহান আল্লাহ আমার কপালে কী লিখে রেখেছেন।
তিনি আরও লিখেন, অবশেষে বুঝলাম পৃথিবীটা টাকায় বিক্রি। সাধারণ মানুষকে ভালোবেসে বুকে আঁকড়ে ধরে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগের নেতা ও বড় ভাই যারা আছেন তারা সবাই নিজকে গড়ার চেষ্টায় মগ্ন হয়ে আছেন। তো সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন এ দোয়া করি। রাজনীতি থেকে চিরবিদায়। আল্লাহ হাফেজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ৬ নম্বর ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি আবার সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেনের পক্ষে কাজ করেন। এর আগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলায় তার ভাই আব্বাস নিহত হন। সেই মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন।
সোনালীনিউজ/এসএন