চট্টগ্রামে ৪ ইউপিতে নৌকা পেতে ১৯ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ

  • চট্টগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১, ১২:৩০ পিএম
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরগরম মাঠ-ঘাট ও চায়ের দোকান। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এ উপজেলার ৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটার ও জনসাধারণকে আগাম জানান দিচ্ছেন। তবে ভোটের মাঠে শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদেরই বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অনেকটা নীরব।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে সরকার দলীয় একাধিক প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ-লবিং শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন থেকে ২১ জন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান পদে লবিং করতে শোনা যায়। বাজার ছাড়িয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে স্যোশাল মিডিয়াও। বইছে প্রার্থীদের নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ।

উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার ও মেম্বার পদপ্রার্থীদের মাঝেও চলছে আগাম প্রচারণা।

চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪০ ইউপিতে ভোট হবে জানিয়ে তপশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করেছে। যাচাই বাছাই করে দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন বর্তমান চেয়ারম্যান কর্ণফুলী উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম (গত বারের বিদ্রোহী), উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এস এম ছালেহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম চৌধুরী, শিকলবাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম ফোরকান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর হোসেন রানা (সদ্য প্রয়াত বকুল চেয়ারম্যানের বড় ছেলে)।

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী হতে পারেন-বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমজাদ হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন হায়দার (গত বারের বিদ্রোহী), কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদারসহ কয়েকজন।

জুলধা ইউনিয়ন পরিষদে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন-জুলধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক আহমদ (গত বারের বিদ্রোহী), কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জুলধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আমির আহমদ ও উপজেলা যুবলীগের উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা।

বড়উঠান ইউনিয়নে প্রার্থী হতে পারেন বর্তমান চেয়ারম্যান কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাজী রফিকউল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আহমদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মামুনুর রশিদ, বড়উঠান ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, কর্ণফুলী উপজেলাধীন চরলক্ষ্যা, জুলধা, বড়উঠান ও শিকলবাহায় নির্বাচন হলেও বাদ পড়েছে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন। ইউনিয়নটিতে ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ২০শে ডিসেম্বর। যে কারণে মূলত নির্বাচন পিছিয়েছে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবদুল শুক্কুর বলেন, ‘মামলা জনিত কারণে শপথ গ্রহণ পরে হওয়ায় চরপাথরঘাটার ইউনিয়নের মেয়াদ এখনো উত্তীর্ণ হয়নি।’

কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশ অনুযায়ী দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। আশাকরি মনোনয়নের ক্ষেত্রে যারা দলের দুর্দিনে অবদান রেখেছেন, এমন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।’

এরমধ্যে এক প্রতিনিধি সভায় দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, যারা বিদ্রোহী হবেন তাদের তো মনোনয়ন দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও দলের কোন পদ পদবিতে তাদের রাখা হবে না।’

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হবে ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১০০৩ ইউপির ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৮৪০ ইউপিতে ২৩ ডিসেম্বর।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ