নারায়ণগঞ্জ : ‘তুমি গতকালও বলেছো, আমি হুকুম দিলে ঘারমোড়া ৫-৭টা লাশ পড়তো। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, তুমি পারলে হুকুম দাও। তুমি লাশ ফালায়া দিবা আর আমরা আঙুল চুষবো? তোমার এতো সাহস কীভাবে হয়েছে?’
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানকে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরাজিকান্দা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়। আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে করা হয় এই সমাবেশ।
এতে কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি হামলা করা হয়েছে। লুট করা হয়েছে দোকান-খামার। এই ধরনের অত্যাচার আমরা সহ্য করবো না। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা অন্যায় প্রশ্রয় দেবে না। আমার নেতাকর্মীকে যারা আঘাত করবে তাদের প্রতিঘাত করা হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাকে সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন) সেলিম ওসমান বার বার বলেছেন- জহিরের কী অবস্থা? ওর চিকিৎসার জন্য কী লাগবে আমাকে বলুন। আমি বলেছি, ওর জন্য শুধু দোয়া করেন, ওর অবস্থা ভালো না।’
নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ারকে উদ্দেশ করে কাজিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা এতোদিন ধৈর্য ধরেছি, সহ্য করেছি। একের পর এক আঘাত করেই যাচ্ছো। তুমি কীভাবে নির্বাচিত হয়েছো তা নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো। এই কলাগাছিয়ায় নির্বাচনের রেজাল্ট কীভাবে কি হয়েছে তা নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে। আমি এখনও চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, তুমি যদি আমার সঙ্গে নির্বাচন করো তাহলে তিন ভাগের একভাগও ভোট পাবে না। এই খবর তুমিও জানো, আমিও জানি। তারপরও আমি ছাড় দিয়েছি, এরপরও আমার জহির ভাইয়ের ওপর হামলা হলো কেন? তুমি দেলোয়ার হুকুম দিয়েছো, তোমার ছেলেসহ লাঠিয়াল বাহিনী যেভাবে তাকে হামলা করেছে, সে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আল্লাহ না করুক, তার মৃত্যু হলে তোমার বাড়ি-ভিটা কিছু থাকবে না।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুজামানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুবলীগ সভাপতি মোক্তার হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিন তাহেরী সিনহা, জাপা নেতা হান্নান শাহ প্রমুখ।
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়ায় কাজিম উদ্দিন প্রধান নৌকা প্রতিকে এবং দেলোয়ার হোসেন লাঙ্গল প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এর মধ্যে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন দেলোয়ার।
অভিযোগ রয়েছে, ওই নির্বাচনের পর দেলোয়ারের অনুসারীদের হাতে হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন। এতে তিনি স্ট্রোক করেন।
সোনালীনিউজ/এমএস