মুন্সীগঞ্জ : সিরাজদিখানে আলুক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো কৃষক। এবার উপজেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি, যেটা গত বছর ছিলো ৯ হাজার ৩০০ হেক্টরে। এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জমিতে কাজ করছেন চাষিরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ টপ ড্রেসিং (আলু গাছের সারিতে মাটি তুলে দেয়া ও সরিয়ে দেয়ার কাজ) করছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন রাসায়নিক সার। কেউ বা ছত্রাক, রোগ-বালাই ও ঘন কুয়াশার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক সেপ্র করছেন, কেউ আবার জমিতে পানি দিচ্ছেন সকাল থেকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আলু উপাদকারী মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার এলাকাগুলোর বিস্তীর্ণ জমিজুড়ে আলুচাষিরা এখন মহাব্যস্ত আলু পরিচর্যায়। সিরাজদিখান উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক কৃষক আলু চাষের সঙ্গে জড়িত। গত কয়েক বছরে আলু চাষে লোকসানে অনেক চাষিকে সর্বস্বান্ত করে দিলেও তারা আবারো নবউদ্যমে নতুন মৌসুমের শুরুতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে আলু চাষ করছেন।
উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের আলু চাষি নূর ইসলাম বলেন, আলু গাছ এখন পর্যন্ত ভাল আছে, তবে কুয়াশা বেশী কুয়াশা পড়লে আলু গাছে জটলা বাদবে।
সিরাজদিখান কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর গাছ ভালো হয়েছে এবং রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই