দিনাজপুর: করোনা ভাইরাসের পর আবার নতুন এক ভাইরাসের আগমন ওমিক্রন। ইতি মধ্যে ভারতে করোনার এই নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে ইমিগ্রেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে কোন যাত্রী ভারতে না গেলেও স্বাস্থ্যবিভাগের শর্ত অনুযায়ী ভারত থেকে আসছে প্রতিদিনই পাসপোর্ট যাত্রী। যারা আসছেন তাদের করোনার নেগেটিভ সনদ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া যাত্রীরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না। এদিকে আমদানিকৃত পন্য নিয়ে ভারত থেকে যে সব ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার খালাসীরা আসছে তাদের বাংলাদেশের প্রবেশের সময় জিরো পয়েন্ট মেইন গেইটে শরিরের তাপমাত্রা জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। তার পরেই বন্দরে প্রবেশ করছে।
হিলি ইমিগ্রেশনে চেকপোস্ট এলাকায় দায়িরত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা জানান, অফ্রিকা মহাদেশ থেকে আগত যাত্রিদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ রয়েছে। আমরাও সতর্ক আছি। যদি এখনো অফ্রিকা মহাদেশ থেকে কোন যাত্রি হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে আসেনি। তার পরেও ওই দেশ থেকে যাত্রী আসলে এক দিন বা এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রেখে রেফিড এন্টি জেন্ট টেষ্ট করাতে হবে। তবে ভারত থেকে যে সব যাত্রি বাংলাদেশে আসছে তাদের সর্দি কাশি জ্বর যেকোন একটা লক্ষ থাকলে তাদের রেফিড এন্টি জেন্ট টেষ্ট বাদ্ধতা মুলক করা হয়েছে।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, ওমিক্রন সংক্রমন রোধে ভারত থেকে যেসব ট্রাক ড্রাইভার খালাসিরা পন্য নিযে আসছে সে সব ড্রাইভারও খালাসিদের বন্দরে প্রবেশ করার পূর্বেই তিন স্তরে জীবানু নাশক স্প্রে ও শরিরের তাপমাত্রা মাপার পরেই বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এবং বন্দরে প্রবেশের পর মাক্স বাধ্যতামূলক পরতে হবে।
এছাড়া কোন ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার খালাসীরা কোন ভাবেই বন্দরের বাহীরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা নজরদারী রেখেছি।
সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই