কক্সবাজার : চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পেকুয়ার সীমান্তবর্তী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের একটানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে। র্যাব জানায়, কক্সবাজারের পেকুয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র সরবরাহ করা হতো স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জলদস্যুদের কাছে।
র্যাবের একটানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযান চলে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত পর্যন্ত। অনেকটা জনমানবশূন্য এই পাহাড়ে অভিযানের কথা টের পেয়ে মূল হোতা হামিদ পালিয়ে গেলেও উদ্ধার করা হয় বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। আটক করা হয় অস্ত্র তৈরির ৩ কারিগরকে।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, ২দিন অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম র্যাব-৭-এর একটি টিম পেকুয়ায় এই অভিযান শুরু করে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান শেষ করে। আটক ৩ জনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ২টি পাহাড়ে এই বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীর সর্দার কবির আহমদ ও তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে র্যাব-৭-এর একটি টিম। দুর্গম এই এলাকাটি চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ