নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিবাদমান দুইপক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বড় ভাই নূর উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার মামলা পিবিআইতে স্থানান্তরের পর এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলার চার্জশীট দেওয়া হয়নি। তাছাড়া, ভিডিও ফুটেজে পরিলক্ষিত যে সকল আসামিদের হাতে অস্ত্র ছিল তাদেরকে কারা নির্দেশ দিয়েছিল এবং কাদের নির্দেশে তারা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বা কোথা থেকে তারা অস্ত্র পেলো, প্রদর্শিত অস্ত্র কোথায় গেলো এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাথে কাদের কথা হয়েছিল সে সংক্রান্ত কললিস্ট অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডের মূল কুশীলবদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।
সকল সংস্থার আন্তরিকতা দরকার উল্লেখ করে নিহতের বড় ভাই নূর উদ্দিন বলেন, পিবিআইসহ অন্যান্য সংস্থা আন্তরিকতা সহকারে তদন্ত করলে এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ সময় মুজাক্কির যদি আপনাদের ভাই হতো তাহলে ন্যায় বিচার না পেলে আপনারা কি করতেন? আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। তাই কারো প্রভাবে না প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে মুজাক্কির হত্যার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনুন। আল্লাহকে ভয় করুন, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহতের বড় ভাই নূর উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এই আর্তনাদ শুনতে পান তাহলে আমরা ন্যয় বিচার পাবো। আপনি মানবতার মা।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকৃত খুনীদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায় বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মুজাক্কিরের বাবা মাওলানা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী, মাতা মমতাজ বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। ওই দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এবং তার বিরোধী পক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
সোনালীনিউজ/জে/এসআই