লতি চাষের এলাকা গফাকুঁড়ি 

  • মামুনুর রশিদ, ত্রিশাল | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৪:২০ পিএম

ত্রিশাল: কচুর লতি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার গফাকুঁড়ি এলাকার অনেক প্রান্তিক চাষীরা। এ অঞ্চলের লতি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়। অল্প পরিশ্রমে লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা কচুর লতি চাষে ঝুকছেন। ফলে গ্রামটি এখন কচুর লতির গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। 

গফাঁকুড়ি এলাকার ‍কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে লতি চাষ করে দেশজুরে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। 

অনেকে লতির গ্রাম হিসেবে গফাকুঁড়ি এলাকাকে চিনে থাকে। কৃষকরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি লতি বিক্রি করছেন।

এ অঞ্চলের লতি ঢাকার কাওরান বাজার, টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। 

কৃষক ফজর আলী, আব্দুর রহিম, ওমর আলী জানান, তারা বেশ কয়েক বছর যাবৎ লতি চাষ করে আসছেন। ধানের থেকে লাভজনক হওয়ায় তারা বারোমাসি লতি চাষ করেন।

এছাড়াও আব্দুর রহমান, ইব্রাহিম, নবী নেওয়াজ, শফিকুল, মকবুল ব্যাপারী এই ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে লতি কিনে প্রসেসিং করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। তারা জানান, চলতি মৌসুমে খরা ও আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় কৃষকদের জমিতে পর্যাপ্ত লতি হয়নি। গত বছরের তুলনায় এ বছর কৃষকদের জমিতে ফসল কম হয়েছে। 

নবী নেওয়াজ ও শফিকুল  ইসলাম বলেন, নিজের জমির পাশাপাশি তারা পাইকারি লতি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। স্থানীয় গফাকুঁড়ি, ঠাকুরবাড়ি মোড়ে তারা শ্রমিক দিয়ে লতি পরিষ্কার করে পরিবহণযোগে অন্য জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। 

বর্তমানে এই ইউনিয়নের কৃষকরা লতি চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়াও লতি চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে ত্রিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। 

সোনালীনিউজ/এম