কুমিল্লা: কুমিল্লা সদরের ২০০৬ সালের মামলায় ১৭ বছর পর চম্পকনগর সাতরার রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের রায় দেন আদালত। এ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ৪ জন বেকসুর খালাস পান। ১২ জন আসামির দন্ডাদেশের মধ্যে ৭ জনকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনর এ রায় দেন। এ মামলায় আদালতে ৯ জন আসামি এজলাসে ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত ৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জুয়েল, শুভ, কাজল, শিপন, মোর্শেদ, আলাউদ্দিন ও রিপন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন- বাদল, ইকবাল, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার ও সোহেল।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল, শুভ, কাজল, শিপন, মোর্শেদসহ ৫ জনই পলাতক ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাদল ওইকবাল সহ ৬ জন পলাতক রয়েছে।
[201463]
মামলার বিবরণে জানায়- ২০০৬ সালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পহেলা মে রাতে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গির খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরো ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে তদন্ত কর্মকর্তা।
দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও ১৬জন সাক্ষীরসাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক।
রায় শেষে মামলার বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশকরেন।
তবে আসামি বিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
সোনালীনিউজ/এম