সৌদি আরবে আজ (বুধবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এসব গ্রামে ঈদ উদযাপনের এই রেওয়াজ চলে আসছে বহুদিন থেকে।
আজ বুধবার (২৮ জুন) সৌদির মিল রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ১১০টি গ্রামে উদযাপন করা হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসব। এর মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রাম এবং বরিশাল মহানগর, বাবুগঞ্জসহ অন্তত ৫০টি ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে ঈদের সালাত আদায়সহ পশু কোরবানি করা হবে।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ১৯২০ সাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উৎসব পালন করা হয়। সে হিসেবে আজ সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ অঞ্চলে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালনের বিধান অনুসরণ শুরু করেন মরহুম মাওলানা ইসহাক। সে অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো যেমন– ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং পবিত্র মাহে রমজানের রোজাসহ যাবতীয় ইসলামী কর্মসূচি পালন করে আসছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ইয়াওমে আরাফা, অর্থাৎ পবিত্র হজের দিন হওয়ায় আজ পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি সম্পন্ন করবেন তারা।
আগাম ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে– হাজীগঞ্জের বলাখাল, শ্রীপুর মণিহার, বড়কুল, অলিপুর, বেলচো, রাজারগাঁও, ঝাকনী, কালচো, মেনাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম আছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আছে– শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, আইকপাড়া, ভুলাচো, বদরপুর, উটতলী, নুরপুর, কাইতাড়া, সুড়ংগচাল ও বাশারা। এ ছাড়া মতলবের ১৮টি গ্রাম আছে। এর বাইরে চাঁদপুরের পাশাপাশি নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইসহাকের অনুসারীরা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
সোনালীনিউজ/এসআই