ঢাকা: জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ইন্তাজ উদ্দিন। এ ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু আবারও হামলায় ভয়ে তিনি আতঙ্কিত দিন কাটাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা ইউনিয়নের পালড়া গ্রামে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হামলার শিকার ইন্তাজ উদ্দিন ১৯৯১ সাল থেকে কুয়েতে প্রবাসী।
সেখানে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অসুস্থতার কারণে কয়েক বছর আগে তার শরীরে রিং পড়ানো হয়েছে। গত মে মাসে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। আগামী আগস্ট মাসে আবার কুয়েতের চাকরিস্থলে ফিরে যাবেন।
যোগাযোগ করা হলে মামলার কথা স্বীকার করে ইন্তাজ উদ্দিন জানান, এলাকার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই সূত্র ধরে এবারের কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি নিয়ে আমার ভাতিজা রাজু আহম্মেদের সঙ্গেও সিরাজুল ইসলাম বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। নিজের পছন্দের দামে রাজুর গরু কিনতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সিরাজুল।
[202610]
দলবল নিয়ে গত ২৭ জুন সিরাজুল মারধর করে রাজু আহম্মেদ ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তারকে। এমনকি রাশেদা আক্তারের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কথাবার্তা বলে গত বৃহস্পতিবার রাজুর বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় সিরাজুলের নেতৃত্বে আলামিন, আলমগীর, রাহিজ, হাসেন আলী তার ওপর (ইন্তাজ উদ্দিন) হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কোনোক্রমে প্রাণে বাঁচেন। ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অব্যাহতভাবে সিরাজুল ইসলাম তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত সিরাজুল। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সম্পর্কে ইন্তাজ উদ্দিন তার ফুপাত ভাই। জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলেও তা অনেক আগেই মিটে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
[202608]
গরু বেচা কেনা নিয়ে রাজু ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগও অস্বীকার করেন। উল্টো অভিযোগ করে বলেন তার পরিবারের ওপরেই ইন্তাজ উদ্দিনের পরিবার হামলা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় জিডি করেছেন বলেও দাবি করেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই সানোয়ার হোসেন দুই পক্ষের অভিযোগ পাওয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে।
সোনালীনিউজ/এআর