হিলিতে রাবার পুড়িয়ে তেল তৈরীর কারখানা করায় বিপাকে এলাকাবাসী

  • হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম

দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলিতে রাবার পুড়িয়ে তেল তৈরীর কারখানা করায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। চারপাশে ফসলি জমি ও গাছ গাছালি। এরই মাঝে রাস্তার ধার ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে রাবার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল উৎপাদন কারখানা। পরিবেশ অধিদফতর থেকে লাইসেন্স থাকলেও সেখানে নিয়মনীতি না মানার অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রতিনিয়ত পরিবেশ নষ্ট করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এ কাঠের জোগান দিতে আশপাশের বাগান থেকে কেটে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের গাছগাছালি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দরের ছাতনী চারমাথা মোড়ের রাঙ্গামাটি এলাকায় রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দীপক মোহন্ত ও আব্দুল মতিন আকন্দ শেয়ার পার্টনার মিলে পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নিয়ে ৩৭ শতাংশ জমির ওপর প্ল্যান্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কারখানায় প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ শ্রমিক কাজ করে। রাবার পুড়িয়ে উৎপাদিত তেল ব্যবহার হয় বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, কারখানাটি তৈরীর পর থেকে আমাদের জমির ফসল ও নদীর মাছ ও গাছ গাছালী থেকে বঞ্জিত রয়েছি । এক সময় কারখানাটি আগে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চলতো। তবে এখন দিনে লোকজন থাকে তাই কোন কার্যক্রম চলে না। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে মিলে রাবার পোড়ানো শুরু হয়, চলে রাত ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ কারখানার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল, কমে গেছে আম, লিচু ও ডাবসহ অন্যান্য ফলের উৎপাদন। এছাড়াও কারখানাটির বর্জ্য গিয়ে পড়ছে পাশের খালে। এতে খালের পানি কালো বর্ণ ধারণ করেছে। খালের মাছ রান্না করার পরেও দুর্গন্ধে খাওয়া যায় না। খালটির পানি এক সময় কৃষি কাজে ব্যবহার করা হলেও, এখন কোন কাজে আসছে না এই খালগুলো। বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি বলে বলছেন তারা।

কারখানা মালিক দিপক মোহন্ত বলেন, নিয়ম মেনে কারখানাটি পরিচালনার দাবি করে বলেন, আমার কাছে লাইসেন্স আছে। পরিবেশ বা মানুষের ক্ষতি হয়, এমন কোন কার্যক্রম আমার কারখানায় হয় না। নিয়ম মেনে কারখানায় রাবার থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করা হয়।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসনে চলন্ত বলেন, আমাদের এখানে রাবার পুড়িয়ে কার্বন এবং তেল তৈরী করা হচ্ছে । তার বিপক্ষে জনগন বার বার করে অভিমত দিয়েছে। আমারও মনে হয়েছে যে এটি হওয়ার মত না। তবে যদিও পরিবেশের অধিদপ্তরের বিষয় কিন্তু জনগনের যেটি চাহিদা তাদের যেটি দাবী যে এই কারখানাটি হওয়ার জন্য নদীর মাছ তারা খেতে পাচ্ছে না গন্ধ করে টায়ার পুড়ানোর মত, গাছের ফল হচ্ছে না, ধানের সমস্যা হচ্ছে । তো এই বিষয় গুলো ক্ষতিয়ে দেখে আমার মনে হয় এটির ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই