গাংনীতে শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

  • মেহেরপুর প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম

সহকর্মী শিক্ষিকার হাত থেকে বাঁচতে অবশেষে গাংনী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেন সহকারী শিক্ষিকা লাবনী খাতুন। অব্যাহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে অবশেষে গাংনি থানায় এই জিডি করেন তিনি। 

লাবনী খাতুন আরও বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তার অভাব মনে করছি, আমার যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে তার দায়ভার অভিযুক্ত শাম্মী আরাকে নিতে হবে। ঘটনাটি গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাম্মী আরা খাতুন একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ও ধানখোলা গ্রামের সাজেদুল আলমের স্ত্রী।

এ ঘটনায় গাংনী থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নং ৫৭০।তাং-১৩/০৯/২৩ ইং ডায়েরিতে লাবনী খাতুন অভিযোগ করেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাম্মী আরা খাতুন, ওই বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষিকা লাবনী খাতুন ও অন্য দুই শিক্ষিকা মিনারা আফরোজ ও শারমীন সুলতানাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় শাম্মী আরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনেই লাবনী খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা দম্ভকরে বলেছেন, সে নাকি মিয়া বাড়ির পুত্রবধূ, তার বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না। 

এর আগে গত বছর শীতের সময়ে তাকে ভ্যান চালকদের দিয়ে শায়েস্তা ও আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি প্রদান করেছিলেন। ভ্যান চালকদের সাথে তার চুক্তি হয়েছে বলেও হুমকির সময়ে বলেন ওই শিক্ষিকা। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শাম্মী আরার সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনতে হলে স্কুলে আসতে হবে। আপনি স্কুলে আসেন তারপর শুনবেন। তিনি আরও বলেন, সব শিক্ষক তো আর তার হয়ে যায়নি।

এনিয়ে ক্লাষ্টার অফিসার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীনের সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে অভিযোগ পাওয়ার পরই উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমাকে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট করতে স্কুলে পাঠান। আমি যথারীতি স্কুলে যাই এবং তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করি। কিন্তু ঐ দিন বৃহস্পতিবার থাকায় শিক্ষা অফিসার না থাকায় রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি।

তবে তিনি বলেন, আমি তদন্ত রিপোর্ট করতে গেলে সকলের কথা শুনেছি কিন্তু অভিযুক্ত শাম্মী আরা তার আধিপত্য বিস্তার করতে উচ্চবাচ্য করে আমার কোনো কথায় সে কর্ণপাত করেনি। তবে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পা হলেও অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, গাংনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে শিক্ষা অফিসার ছুটি নিয়ে থাকেন। শিক্ষা অফিস এই পরিস্থিতিতে দায় এড়াতে পারেন না। প্রয়োজনে এদেরকে শাস্তিমূলকভাবে বদলী করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা আছে। তবে, এঘটনায় ক্লাষ্টার অফিসার আলাউদ্দীনকে তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছিল। সে এখনো আমাকে তদন্ত রিপোর্ট দেয়নি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআর