৩০ বছর ধরে এক টাকায় পেঁয়াজু বিক্রি করছেন আবুল কাশেম

  • হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০১:০৪ পিএম

দিনাজপুর: বর্তমানে প্রতিটা দ্রব্যমূল্যর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজু। অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা বিরামপুরের কাটলা বাজারে ৩০ বছর ধরে এক টাকায় পেঁয়াজু বিক্রি করছেন আবুল কাশেম। তিনি প্রতি পিচ পিঁয়াজুর মুল্য নেন এক টাকা, মচমচে স্বাদে অতুলনীয় এই পিয়াজু খেতে ছুটে আসে বিভিন্ন এলাকা থেকে পিয়াজু পাগলরা। কম দামে মানুষকে পিয়াজু খাওয়াতে আনন্দ পান এই পিয়াজু বিক্রেতা। বিকেল থেকে শুরু হয় বেচাবিক্রি, চলে রাত পর্যন্ত। এসময়ে বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। তাতে যা লাভ হয় তাতে কোন রকম করে সংসার চলে কাসেম আলীর। তবে পেঁয়াজের দামটা অনেক বেশি, কম হলে একটু বেশি লাভ হতো বলে জানান তিনি। এদিকে ১ টাকায় পেঁয়াজু পেয়ে খুশি ক্রেতারা।

পিঁয়াজু বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, ছোট থেকেই তিনি হোটেলে কাজ করে সংসার চালাতেন। ১৯৯৫ সালের রেস্টুরেন্টটি বন্ধ হয়ে গেলে সংসার চালানোর তাগিদে বাজারে একটি দোকানে তিনি পেঁয়াজু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এক টাকার সে পেঁয়াজু বিক্রি করে আসছেন। এই পেঁয়াজু দোকান করে তিনি দুইটি মেয়েকে লেখাপড়া করাইয়ে বিয়েও দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ৩০ বছর থেকে এই পিঁয়াজু বিক্রি করে আসতেছি। তবে বর্তমান পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় তেমন একটা লাভ করতে পারিনা। 

এক টাকায় পেঁয়াজু বিক্রির জন্য জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বর্তমান দিনে যে দ্রব্যমুল্যের দাম তাতে এক টাকার জিনিস বললেই চলে তারপরও আমি এক টাকায় পেঁয়াজু বিক্রি করি কারন আমি তাতে আনন্দ পাই। আমার কাছে অনেক দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসে এই পেঁয়াজু খাওয়ার জন্য এটাতেই আমি খুশি।

কয়েকজন পিঁয়াজু প্রেমিকরা বলেন, কাশেম ভাইয়ের পেঁয়াজুর স্বাদ খুবই ভালো তাই আমরা এখানে পেঁয়াজু খেতে আসি। তাছাড়া এখানে ১ টাকায় পেয়াজু বিক্রি হয়, বর্তমান দিনে দ্রব্যমুল্যের যে দাম তাতে এক টাকার জিনিস তো এখন পাওয়াই যায়না। কাশেম ভাইয়ের দোকানে এই ১ টাকার পেঁয়াজু খেতে অনেক দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসে।

সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই