কক্সবাজার: উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমুন’ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এ কারণে কক্সবাজার উপকূল জুড়ে তীব্র ধমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে কক্সবাজারের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি কিছু গাছ ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া ধমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি এ পর্যন্ত (সাড়ে ৭ টা) অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদতফরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বিকাল ০৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
[209588]
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ আজ ৯টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। যার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু এখন বৃষ্টির মাত্রা বেড়েছে। বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, জেলার ৯ টি উপজেলায় ৫৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছেন। তাদের সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।
এআর