পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর ৩ যুবককে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাংঙ্গায় চোর সন্দেহে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন ও পুলিশে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার ফকিরের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে আনোয়ার ফকির (৩৭) ও তার ছেলে সাইমুন ফকির (১২) এবং ভবানীপুর গ্রামের লতিফ ঘরামীর ছেলে ছগির ঘরামী (৩৬) বাগেরহাটে ভাঙ্গারীর মালামাল মহাজন বাদশা সিকদারের কাছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা পায়ে হেটে বাড়িতে ফিরছিলেন।
গভীর রাতে মাড়েলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাংঙ্গা ইউনিয়নে আসলে কতিপয় লোকজন তাদের গরুচোর সন্দেহ করে অমানষিক নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাদেরকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার গুরুচুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে।
অপরদিকে এলাকাবাসী তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে না পেরে অন্যায়ভাবে তাদেরকে আটক করে নির্যাতন ও পুলিশে দেয়ার প্রতিবাদে ইন্দুরকানীতে মানববন্ধন করেন। রোববার আনোয়ারের নিজ গ্রামের বাসিন্দারা ইন্দুরকানী-বালিপাড়া সড়কে দুই শতাধিক মানুষ তাদের পক্ষে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, বালিপাড়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশিদ চৌকিদার, আঃ জলিল শেখ, সমাজসেবক আবু ছিদ্দিক হাওলাদার, আঃ লতিফ হাওলাদার।
এ সময় বক্তারা বলেন, আনোয়ার, ছগির ও সাইমুন তারা ভালো মানুষ। তারা গরীব হলেও কখনও কারও কোন মালামাল চুরি করেনি। তারা নির্দোষ, তাদেরকে অন্যায়ভাবে আটক করে নির্যাতন করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। যারা তাদের সাথে এমন আচরণ করেছে তাদের শাস্তি দাবি করেন এবং আনোয়র সহ আটককৃত তিনজনের মুক্তি দাবি করেন। বক্তারা ও এলাকাবাসী জানান, আনোয়ার ও ছগির দুইজনেরই মানষিক সমস্যা রয়েছে। তারা বছরে দুই একবার অসুস্থ হয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তবে কখনও কারও কোন ক্ষতি করে না।
ওয়াইএ