শিবপুর: মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন শাহ আলম (৫০)। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া এলাকায় ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রবাসী শাহ আলম ও তার ছোট বোনের স্বামী সেলিম খন্দকার (৪৫) নিহত হন। গুরুত্বর আহত হন শাহ আলমের ভাগ্নে সাব্বির ও মাইক্রোবাসচালক আকাশ।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামের শাহজাহান মেম্বারের ছেলে। তার ভগ্নিপতি সেলিম খন্দকার একই উপজেলার অষ্টগ্রাম গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে।
[218077]
হাইওয়ে পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইতালিতে বসবাস করছেন শাহ আলম। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আজ দেশে ফিরে জানাজায় অংশ নিতে বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন শাহ আলম ও তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া, ভাগ্নে সাব্বিরসহ চারজন।
তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নরসিংদীর শিবপুরের ঘাশিরদিয়া পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহ আলম এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ভগ্নিপতি সেলিম মারা যান। গুরুতর আহত মাইক্রোবাসচালক আকাশ ও নিহতের ভাগ্নে সাব্বিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। ট্রাক ও মাইক্রোবাস দুটি জব্দ করে হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তরে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’
এমএস