কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন মামুন

  • পাবনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম

পাবনা: ৩০ বছর বয়সী মামুন নিজেকে কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা ও আইনজীবি হিসেবে পরিচয় দিতেন।  ফোন করতেন কারাগারে বন্দি আসামিদের আত্বীয়-স্বজনদের কাছে। বিভিন্ন উপায়ে আসামিকে জেল থেকে মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। 

মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এমন অভিযোগে চক্রের মুল হোতা মামুন হোসেন ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব।

[218212]

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।

আটককৃতরা হলেন, পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় আহাদ মোড় গ্রামের আজহার সরকারের ছেলে মামুন হোসেন (৩০), বোঁথড় গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইমরান হোসেন (২৮)।

এহতেশামুল হক খান জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গনে উদ্ধেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে আসামিদের আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষা করেন। কেউ জামিনের জন্য আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের একনজর দেখার জন্য। এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে প্রতারক চক্র। কখনো জেল সুপার কখনো জেলা পুলিশ, কখনো বা উকিল পরিচয়ে আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা জেলায় নানা কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতরণা করে আসছে। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হন পাবনা সদর উপজেলার শ্রীকোল পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবু তালেব প্রামানিকের ছেলে আসলাম প্রামানিক। তার পিতার জামিন করে দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৭ হাজার ৩শ' টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

ভুক্তভোগী আসলাম র‌্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে মাঠে নামে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মামুন ও তার সহযোগী ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত বিষয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে আটককৃতদের চাটমোহর থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

এম/এসআই