কক্সবাজার: কখনো পুলিশ সুপার, কখনো জেল সুপার আবার কখনো আইনজীবী। এমন অহরহ পরিচয় দিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিত মোটা অংকের টাকা। এমন একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে র্যাব-১৫।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের মূলহোতা হুমায়ুন কবির (২৭) কে আটক করেছে র্যাব-১৫।
আটক হুমায়ুন কবির পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঠান্ডাঝিরি এলাকার মৃত বদি আলমের ছেলে।
[218554]
শনিবার (২ মার্চ) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানায় টেকনাফে আসমাউল হোসনা নামে এক নারীর থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামে র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি র একটি আভিযানিক দল। পরে কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝা ইউনিয়নের শুকনাছড়ি মুজিবনগর এলাকায় সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আটকৃত ব্যাক্তি জানায় তার আপন ভাই ও স্ত্রীসহ একাধিক ব্যাক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় কারাগারে থাকা আসামীদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতো। পরে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জামিনের কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবী করে হাতিয়ে নিত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী নারী আসমাউল হুসনার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাভোগ থাকাকালীন ৯-১০ মাসে আগে তার সাথে দেখা করতে আসা-যাওয়ার সময় হুমাইয়ূন কবির নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। এই সুবাদে সে জানায়, তার সাথে কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আইনজীবি, মুহুরি, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে এবং এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে জামিন করিয়ে দিতে পারবে। কথানুযায়ী হুমাইয়ূন কবিবের একাধিক মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময়ে মোট এক লক্ষ তের হাজার নয়শত টাকা হাতিয়ে দেন। তবে সে তার স্বামীর জামিন নিয়ে দিতে পারেনি। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারে সে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে র্যাব-১৫ এর নিকট অভিযোগ করেন।
আটক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
এস/এসআই