পাটগ্রাম: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেওয়ার কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
পাটগ্রাম থানা পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের একাংশের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। এ নিয়ে সরদার গ্রুপের সাথে সাজ্জাদের দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে সাজ্জাদ তাঁর লোকজন ও বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সরদার গ্রুপের দখলে থাকা স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেওয়ার কার্যালয়ের সামনের মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে লালমনিরহাট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১১ জনকে আসামী করা হয়। আদালত মামলা রুজু করতে পাটগ্রাম থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। গত ০৪ মার্চ পাটগ্রাম থানায় এ মামলা রুজু করা হয়। এরমধ্যে বুধবার (০৬ মার্চ) সাজ্জাদ তাঁর ৩০ থেকে ৩৫ লোকজন ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে স্থলবন্দরের শ্রমিকদের কাজের তালিকা (সিরিয়াল) দেওয়ার কার্যালয় দখল করে। এ সময় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিক লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, তাঁর বড়ো ভাই আবু হানিফ ও আরিফুল ইসলাম চমন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশকিছু লোহার তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ওইদিন বিকেলে পুলিশ পাহারায় লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি বাদী হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দিয়েছি। বুধবার দুপুরে সাধারণ শ্রমিকেরা স্থলবন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাসের কাজে ব্যস্ত ছিল। এ সুযোগে সাজ্জাদ তাঁর লোকজন ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্টনের কার্যালয় দখল করে। পুলিশ এসে তাঁকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার সাজ্জাদসহ তিনজনকে বুধবার বিকেলে পুলিশি পাহারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এমএস