পাথরঘাটা: রাত পোহালেই ঈদ আনন্দে মাতবে সবাই। দিনটিকে ঘিরে মানুষের ব্যস্ততার শেষ নেই। ঈদ উপলক্ষে দেশের সব বাজার জমজমাট। সর্বস্তরের মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নতুন পোশাকে সাজতে প্রস্তুত। ভিন্ন চিত্র বরগুনার পাথরঘাটা জেলেপল্লিতে। ঈদের আনন্দ নেই এখানকার জেলে পরিবারের মাঝে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় জেলে রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১৬ হাজার ৮২০ জন। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতি মাসে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ১৬ হাজার ২২৮টি পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরু ও উপকরণ দেওয়া হয়। গভীর সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমুদ্রগামী জেলেদের প্রণোদনার চাল বিতরণ চলছে।
পাথরঘাটা উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় ওই এলাকার অধিকাংশ ট্রলারে নোঙর করে রয়েছে।
[221171]
স্থানীয় জেলে ইব্রাহিম, শহিদ নাজির, ইলিয়াস বলে, গত বছরের তুলনায় এবছর নদীতে মাছ অনেক কম। মাঝে মাঝে দুই একটি ইলিশ ধরা পরলেও তা বিক্রি করে আর সংসার চলেনা। এমনকি নদীতে যাওয়া আসা খরচ টাই হচ্ছেনা। ঈদ এসে গেছ মা-বাবা, ছেলে মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কি দিয়ে তাদের ঈদের জামা কাপড় কিনে দিবে নদীর ব্যবসা করে কোনমতে টিকে আছি। বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় লোন রয়েছে তা পরিষদের জন্য চাপ দিচ্ছে ।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত আমাদের সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে জেলেদের জাটকা আহরণ বন্ধ থাকার সময়ের প্রত্যেক জেলেকে ৮০ কেজি চাল করে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে স্রোত ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ বিচরণের জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই। এখন আগের মতো জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহে অনেক ইলিশ ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
এমএস