বান্দরবান : বান্দরবানের রুমা উপজেলা ভ্রমণে পর্যটকদের চারটি নির্দেশনা দিয়ে একটি পত্র জারি করেছিল বান্দরবানের রুমা উপজেলা প্রশাসন। গত ৯ এপ্রিল ওই পরিপত্র জারি করা হয়। পরে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ওই চার নিদর্শনা স্থগিত করে আর একটি পত্রাদেশ জারি করেন রুমা ইউএনও মো. দিদারুল আলম (রুটিন দায়িত্ব)।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল জারিকৃত নির্দেশনাটি স্থগিত করা হলো।
প্রথনে জারি হওয়া নির্দেশনায় ছিল, যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনাকালে কোনো হোটেলে পর্যটকদের রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনো পর্যটক গাইড পর্যটকদের পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবেন না। কোনো পর্যটন কেন্দ্রের জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং নৌপথেও কোনো পর্যটন কেন্দ্রে না নিয়ে যেতে বলা হয়েছে এই নির্দেশনায়।
পর্যটক ভ্রমণের বিষয়ে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পর্যটক ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্বিঘ্নে দেশের যেকোনো জেলা হতে পর্যটকরা বান্দরবান আসতে পারেন।
[221263]
এদিকে জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও জেলার যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান আছে সেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম অনুসরণ করে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণের দিকে জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিনেদুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ'র সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীরসহ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
এমটিআই