রাজবাড়ী : ঈদের ছুটি শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে।
তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের সেই চিরচেনা চাপ নেই।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ঘাট এলাকা একদম ফাঁকা। মানুষের হাঁকডাক নেই। নেই যানজট, নেই ভোগান্তি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে যেসব যানবাহন আসছে সেগুলো ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে যে ফেরিগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে, তার বেশির ভাগই দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকছে।
[221326]
পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে জৌলুস হারিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত থাকা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। এখন আর ঘাট এলাকায় নেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ নেই। যাত্রী ও যানবাহন ফেরি ঘাটে পৌঁছনো মাত্রই, ফেরিতে উঠে চলে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী মারুফ হোসেন বলেন, কোনো ভোগান্তি নেই। ঈদের আগে বাড়ি ফেরার সময় স্বস্তিতে ফিরেছি। এখন ঈদ শেষে কর্মস্থলেও স্বস্তিতে ফিরছি। ফেরি ঘাটে যানজট নেই।
আরেক যাত্রী ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতুর কারণেই এই নৌরুট দিয়ে যারা যাতায়াত করে, তাদের ভোগান্তি কমেছে। ঈদের আগে ও পরে ঘাট একদম ফাঁকা থাকছে।
প্রাইভেটকার চালক রুবেল আহম্মেদ বলেন, অবাক হওয়ার মত বিষয়। যে ঘাটে ঈদের আগে ও পরে কয়েক কিলোমিটার যানজট লেগে থাকত; ফেরিতে উঠতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যেত, সেই ঘাট আজ ফাঁকা।
এখন গাড়ির জন্য ফেরি বসে থাকছে। পদ্মা সেতু না চালু না হলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হত।
দৌলতদিয়া ঘাটের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বলছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরির মধ্যে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লে বাকি ফেরিগুলোও চলবে।
এমটিআই