ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

  • ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১১:১৩ এএম
ফাইল ছবি

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে খায়রুল ইসলাম (৪২) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

খায়রুল ইসলাম চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে চরগড়গড়ি গ্রামের হুসেন আলী মাস্টারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, সামাদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নায়েব আলীর ছেলে শাহীন ও ইয়ার আলী মৌলভীর ছেলে মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এসময় খায়রুল ইসলাম দুই পক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দা দিয়ে ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চরগড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১২ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, মসলেম মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বে হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মণ্ডল, হিরাজ সরদারের চেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মণ্ডলের ছেলে আলিম মণ্ডল, মোজাম প্রামাণিকের ছেলে জিল্লু প্রামাণিক ও ইছাহক হোসেন আহত হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এএ/এসআই