কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে বেশ কিছু চিঠি পাওয়া গেছে। সেখানে পারভীন আক্তার নামে এক মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিঠি লিখেছেন সিলেটের হবিগঞ্জের সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। দানবাক্সে (সিন্দুক) টাকা, স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ও চিঠিও পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিলল রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট। চলছে টাকা গণনার কাজ।
[221739]
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৯টি দানবাক্সের (সিন্দুক) ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ২২০ জনের একটি দল। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানানো হবে।
এদিকে মনোবাসনা পূর্ণ করতে একজনের একটি চিঠি মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া যায়। যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিঠি লিখেন। চিঠিতে লেখা ছিল-‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করে’।
[221730]
আরেকটি চিরকুটে লেখা, ‘আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নম্বর পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।’
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূরদূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
আইএ