কথা ছিল চাকরি পেয়ে করবেন বিয়ে, না করায় অনশনে নারী

  • ভোলা ও চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম

ভোলা: ভোলার চরফ্যাশনের ওমরপুরে প্রেমিক মিজানুর রহমান তৈয়বের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ঢাকা ইডেন কলেজেল এক সাবেক ছাত্রী। চাকরি হলে বিয়ে করার কথা বলে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও চাকরি পাওয়ার পর প্রেমিক তৈয়ব রাখছেন না যোগাযোগ; দাবি অনশনকারী নারীর।

শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় অনশন শুরু করেন ওই নারী। এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই নারী প্রথম দফায় অনশন শুরু করলে পুলিশ ও স্থানীয়দের সমঝোতায় অনশন স্থগিত করেন ওই নারী।

অনশনরত নারী জানান, বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক তৈয়ব আত্মগোপনে চলে গেছেন। তবে বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।তিনি জানান, দেড়বছর আগে তৈয়বের সঙ্গে একটি চাকরির পরীক্ষার সূত্রে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তৈয়ব তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। চাকরি হলে বিয়ে করবেন এমন আশ্বাসে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। তিন মাস আগে তৈয়বের তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি হয়। এর পর থেকে সাদিয়াকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন তৈয়ব। তার মোবাইল নম্বর, ম্যাসেঞ্জার, হটসঅ্যাপসহ সবকিছুতে ব্লক করে দেন।

[221820]

তিনি আরও জানান, গত ১২ এপ্রিল তিনি প্রেমিক তৈয়বের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তখন থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা সমঝোতার আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করে চরফ্যাসনে তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় রাখেন। সে সময় পুলিশ মিজানের দুই ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মিজানকে উপস্থিত করার শর্তে তাদের মুছলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মিজানের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনেও মিজান উপস্থিত হননি। স্থানীয়দের সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় গত শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় অনশন শুরু করেন তিনি।

তৈয়বের বাবা জানান, মেয়েটিকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। ছেলেকে খোঁজা হচ্ছে। ছেলে আনার চেষ্টা চলছে, তিনি এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরিস হক বলেন, ‘অনশনরত ওই নারী যদি আইনি সহায়তা চান তাহলে দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। তারপরেও আমরা তাকে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এমএস