কালবৈশাখী ঝড়েও পাওনা আদায়ে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪, ১১:৩০ এএম
ছবি : প্রতিনিধি

গাজীপুর: গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় অবস্থিত। একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পাওনা বেতন-ভাতার টাকা আদায়ের দাবিতে টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও মুশলধার বৃষ্টির মধ্যেও অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন। 

রোববার (৫ মে) রাত ৯ টার দিকে যখন গাজীপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়। সেই সময়েও এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা। 

এ দিকে জানাযায়, সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিমপুর সুরাবালী এলাকায় অবস্থিত। ডেনিম নিটওয়্যার লিমিডেট নামের একটি পোশাক কারখানার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করেই ঈদের ছুটির সময় রাতের আঁধারে অতি গোপনে কারখানার মেশিনপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে কারখানা অন্য মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় এর পর থেকেই সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকও লাপাত্তা হয়েছেন। পরে ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিষয়টি জানার পর গত ২১ এপ্রিল থেকে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। 

ডেনিম নীটওয়্যার লিমিটেডের মেশিন অপারেটর মো: মনির হোসেন জানান, কারখানা মালিকের এ ধরনের অমানবিক ও অনৈতিক কর্মকান্ডে আমরা পোশাক শ্রমিকরা হতবাক ও হতাশ। তিনি আরও বলেন, একটা মানুষের মধ্যে যদি নুন্যতম মানবাধিকার বোধ থাকতো তাহলে এ ধরনের অমানবিক কাজ করতে পারতেন না। আমরা সবাই ঈদের ছুটি থেকে ফিরে এসে দেখি হঠাৎ কারাখানা গেটে শ্রম আইনের ১২ (১) ধারায় বন্দের নোটিশ ঝুলছে। আমরা এখানে কোন আন্দোলন নয় শুধু আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি। পাওনা টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে গিয়ে পাওনা আদায়ের দাবিতে অবস্থান নিলে ওই দিনই লে-অফ নোটিশ প্রত্যাহার করে নেয় সংশ্লিষ্ট কারখানার কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া একই সময় টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে সমঝোতার জন্য রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর ১২টায় শ্রমিকরা অধিদফতরের টঙ্গী কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেন। তবে দিনভর অপেক্ষার পরও মালিকপক্ষের কেউ এখানে আসেননি। 

এমএস/এসআই