বান্দরবান: বান্দরবানে অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বাসিং থুয়াই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আসামি মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) কক্সবাজার মহেশখালী ধইলের পাড় এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।
[222957]
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ছেলে নাঈমকে এপেন্ডিসাইড অপারেশন করানোর জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা। ওই সময় তাকে দেখভাল করার জন্য নাঈমের মা ও ৫ বছরের বোন জান্নাতুল নাঈমা হাসপাতালে অবস্থান করছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় ক্লান্তিতে পাশের খালি সিটে নাঈমের মা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভাঙলে পাশে জান্নাতুল নাঈমাকে না দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এসময় নাঈমাকে খুঁজতে হাসপাতালের নিচ তলায় আসেন। সেখানে নাঈমাকে শহিদুল্লাহ অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখেতে পান। এসময় অপহরণকারী শহিদুল্লাহকে অন্যান্য রোগীর স্বজনদের সহায়তায় আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন তিনি। পরে অপহরণের শিকার জান্নাতুল নাঈমার বাবা মো. আবদুল মান্নান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিপি বাসিং থুয়াই মারমা জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছের আদালত। এছাড়া আদালত শেষে আসামি মো. শহিদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমএস