ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কমরেটে সৌদি আরবের মুদ্রা বিক্রির কথা বলে ‘প্রতারণা’ করে এক হজ যাত্রীর টাকা নিয়ে সটকে পরেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এমনটাই অভিযোগ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিমের।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, কালাম নামে এক লোকের সাথে চট্টগ্রামে প্রায় ১ বছর আগে পরিচয় হয় মো. এনায়েত করিমের। এরপরে বিভিন্ন সময়ে ফোনে যোগাযোগ করতেন।
এর মধ্যেই এনায়েত করিমের পরিবারের সদস্য সিদ্ধান্ত হয় তারা স পরিবারের সদস্যরা ওমরা হজ্ব পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। এ কথা জানতে পেরে কালাম জানান তার কাছে কিছু সৌদি মুদ্রা রয়েছে। এসময় কালামের নিকট সৌদি মুদ্রার দাম জানতে চাইলে তিনি জানান ২৫ টাকা দর। এনায়েত করিমের পরিবারের সদস্যরা যেহেতু সৌদি যাবে তাই তাদের সৌদি মুদ্রার প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি সৌদি মুদ্রা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর এনায়েত করিম ৫ লাখ টাকার সৌদি মুদ্রা কেনার কথা জানালে তাকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসতে বলেন। এরপর গত ৬ মে সকাল ৮ টার সময় ভাঙ্গা গোলচত্ত্বরে আসলে তাকে কৌশলে ভাঙ্গা রেলস্টেশনের যাওয়ার রাস্তার নিকট নিয়ে যায়। এরপরে এনায়েত করিমের নিকট থেকে কালাম জয়নাল ও অজ্ঞাত নামা একজন ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে এনায়েত করিম জানান, আমার পরিবারের সবাই সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ হজ যাবে তাই আমাদের সৌদি মুদ্রা "রিয়াল" প্রয়োজন ছিল। একথা কালাম জানতে পারলে সে জানায় তার কাছে সৌদি মুদ্রা "রিয়াল" আছে। আমি দর জিজ্ঞেস করলে সে জানায় ২৫ টাকা দর। এরপর আমি ৫ লাখ টাকার রিয়াল কেনার কথা জানালে কালাম আমাকে ভাঙ্গা আসতে বলে। এরপর আমি ভাঙ্গা আসলে আমাকে ভাঙ্গা গোলচত্ত্বরের থেকে কৌশলে রেলস্টেশন যাওয়ার রাস্তার কাছে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত এই সংঘদ্ধ প্রতারক চক্রটি সৌদি আরবের মুদ্রা বিক্রির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন জেলার লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে আসছে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, এই ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা প্রতারক চক্রের সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টাও করছি। এই ঘটনায় আমাদের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসআই