কুমিল্লা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পিচঢালা বুক চিরে রূপের পসরা সাজিয়ে বসেছে সবুজ প্রকৃতি। সড়ক বিভাজকে নানা প্রজাতির ফুল গাছে ফুটেছে রঙিন ফুল। অপরূপ এই সৌন্দর্যের চাদরে ঘেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০০ কিলোমিটারে বেশিরভাগ অংশেই চোখে পড়বে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, কাঞ্চন কিংবা করবী। বৈশাখের শেষে নানা প্রজাতির ফুলে সেজেছে হাসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সড়কে চলাচলকারীদের ক্লান্তিও যেন হারিয়ে গেছে। মহাসড়কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সড়ক বিভাজনে থাকা এসব ফুলের মেলা।
ফুলের সৌন্দর্য দাউকান্দি থেকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী সড়ক পর্যন্ত কুমিল্লা অংশে অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয়েছে। নান্দনিক এ সৌন্দর্য ধরে রাখতে গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যার প্রত্যাশা জনসাধারণের।
[223725]
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসব গাছ রোপনের উদ্যোগ সড়ক বিভাগের। মহাসড়কের যেসব স্থানে গাছ নষ্ট হয়ে গেছে, সেসব স্থানে নতুন করে গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
দিনে মহাসড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি আর রাতে বিপরীতমুখী গাড়ির হেডলাইটের আলো নিয়ন্ত্রণ করে দুর্ঘটনারোধেও ভূমিকা রাখছে গাছগুলো।
কৃষ্ণচূড়া বাঙালির কাছে অতিপরিচিত একটি ফুল। বাঙালির কবিতা, সাহিত্য, গান ও নানা উপমায় এর রূপের মোহনীয় বর্ণনা বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মোহনীয় রূপে প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষ এখনো গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের ছোঁয়া পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম আভা ছড়ানোর মাধ্যমে জানান দেয়- সে এখনও টিকে আছে প্রকৃতিকে সাজাবে বলে। যুগ যুগ ধরে প্রকৃতির ঐতিহ্য বহন করছে কৃষ্ণচূড়া।
জান্নাতুল মাওয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে পরিবেশটা খুবই ঠান্ডা। এখানে বাতাসে গা জুড়ায় পথিক সহ স্থানীয়রা। এছাড়া অনেকেই ঘুরতে, প্রকৃতি দেখতে ও ছবি তুলতে আসেন এখানে। আবার অনেকেই গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেন কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে বসে। একটুখানি শীতল হাওয়া যেন তাদের হৃদয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া বিলিয়ে দেয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমরা মহাসড়ক ডিভাইডারের মাঝখানে বিভিন্ন ফুলগাছ থাকে তাই আমরাও পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য এবং যাসবাহনে থাকা যাত্রিদের মরন আনন্দ দেয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াতকারি যাত্রিদের।
হাইওয়ে পুলিশ রিজিয়ন (চট্টগ্রাম) অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল ইসলাম বলেন, 'পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাহারি ফুলের সৌন্দর্য ভ্রমনকারীদের মুগ্ধ করে। জারুল ফুল বাংলার চেরী ফুল হিসেবে বিবেচিত হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডারে জারুল ফুল গাছগুলোর সৌন্দর্যে ভ্রমণকারীরা বিমোহিত'। করেছি।
এসআই