ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাদাম তোলা, পরিস্কার করা, শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ফলন ও দাম বেশি পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাঁসি। কৃষকের কাছে এ যেন মাটির নিচে লুকানো মুঠো ভরা সোনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে নান্দাইলে ৯ হেক্টর জমিতে মাইঝচর, ঢাকা-১ জাতের বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরকামট খালী, চরউত্তরবন্দ, চরকোমরভাঙ্গা ও চরভেলামারী চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক কৃষক তাদের জমি থেকে বাদাম তোলছেন। কেউ আবার জমি থেকে বাদাম শুকিয়ে আটি করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষাণীরা বাড়ির উঠানে ও বারান্দায় কাচা বাদাম পরিস্কার ও শোকানোতে ব্যস্ত রয়েছেন।
[225221]
কৃষক আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল মতিন, মুজিবুর,হাফিজুল ও আব্দুস সোবহানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাদাম চাষে খরচ কম লাভ বেশি। প্রতি কাঠা (১০ শতক) জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকা। (১০ শতক জমিতে বাদাম হয়েছে ২ মনের উপরে। ৪ হাজার টাকা দরে বাদাম বিক্রি হয় ৮ হাজার টাকা।
চরকামট খালী গ্রামের কৃষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ৩০ শতক জমিতে বাদামের চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ৪ হাজার টাকা দরে ৫ মন বাদাম বিক্রি করতে পারবো ২০ হাজার টাকা।
কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘৪০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করছি। ৬ হাজার টাকা খরচ হইছে। বাদাম পাইয়াম ৮ মন। এতে আমি ৩২ হাজার টাকার বাদাম বেচতারাম।’
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, নান্দাইলে ৯ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, অনাবাদি জমি কীভাবে বাদাম চাষের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
এসআই