হিলিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৮৬ টি গরু ও ১৩৮টি মহিষ

  • হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
ছবি : প্রতিনিধি

দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলিতে কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে বানিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে গরু ও মহিষের খামার। এসব খামারে মোটাতাজা করনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। কয়েকদিন পরেই এসব গরু ও মহিষ অনলাইন এবং হাটে বিক্রি করবেন খামারিরা। হাজেরা এগ্রো ফার্মা খামারে রয়েছে আড়াইশ টি গরু ও মহিষ। তিনি ৩ বছর আগে তিন কোটি টাকা দিয়ে খামার শুরু করলেও বিক্রির আশা রয়েছে ৫ কোটি টাকা। তার এই খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে ১৬ জন বেকার যুবকের। এদিকে খামারিকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতার কথা বলছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।

সীমান্তবর্তী উপজেলা দিনাজপুরের হিলিতে দিন দিন বাড়ছে গরু ও মহিষের খামার। আর কয়েকদিন পরেই কুরবানির ঈদ তাই খামারগুলোতে চলছে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করনের কাজ।

হাজেরা এগ্রো ফার্মা স্বত্বাধিকারী সুমন সরকার বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে ১৩৮ টি মহিষ ও ৮৬ টি গরু ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এসব পশুকে দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। খাওয়ানো হচ্ছে খড়, ঘাস, ভৃট্টা, ভুষি ও চাল। আর কয়েকদিন পরই ঈদ, তাই এসব পশু অনলাইনে এবং অফলাইনে বিক্রির জন্য ব্যাস্ত সময় পার করছেন খামারি। তবে তার খামারে ১৩শ’ কেজি ওজনের বুলডোজার আর ১১শ' কেজি ওজনের বিগবস কোরবানির ঈদের জন্য স্পেশাল ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির এই মহিষগুলোর একেকটির দাম হাঁকানো হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। লালনপালনের খরচ কম হওয়ায় জেলায় মহিষের খামারের সংখ্যা বাড়ছে। দিনে একটি মহিষ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার খাবার খায়। অল্প খাবারে দ্রুত মাংস বৃদ্ধি হওয়ার কারণে খামারিদের কাছে মহিষ পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এবার গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় আশানুরূপ লাভ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা। তবে লোকসান এড়াতে ভারতীয় মহিষ আমদানি ও চোরাই পথে আসা বন্ধের দাবি খামারিদের।

কয়েকজন শ্রমীক বলেন, সীমান্তবর্তী উপজেলায় হওয়ায় এখানে মাদ্রকের উপদ্রব বেশি। তাই আমরা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করতাম। এলাকায় একটি বড় খামার হওয়ায় আমরা এখানে কাজ পেয়েছি। আমরা এখানে মোট ১৬ জন কাজ করি। কেউ গরুকে পানি খাওয়ায়, কেউবা খড় দেই, কেউ গোসল করিয়ে দেই। এমন খামার হওয়াতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় খুশি যুবকরা। মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন তারা।

হাকিমপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, কুরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে সকল খামারিকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর হিলিতে কোরবানির জন্য সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে মহিষ প্রায় ২০০টি। এ বছর চাহিদার চেয়ে উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজারের বেশি পশু রয়েছে।

এসআই