চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীতে পড়ে নিখোঁজের তিন দিন পর মো: জাহেদুল ইসলাম (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে এলাকাবাসী নদীর পাশে লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। নিহত জাহেদ উপজেলার পূর্ব অলিনগর গ্রামের মো: ফারুক ইসলামের ছেলে।
এরআগে, রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে রেখার জিরো পয়েন্টের আমলীঘাট এলাকার মেরকুম নামকস্থানে নৌকা থেকে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টা থেকে জাহেদকে উদ্ধারে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালায়। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস থেকে আসা তিন সদস্যের ডুবুরি দল। পরে সেদিন না পেয়ে সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে আজ পুনরায় অভিযান শুরু করার কথা ছিল।
[226235]
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো: আজাদ উদ্দিন বলেন, জাহেদ লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রোববার রাতে ফেনী নদীতে সে নিখোঁজ হয়েছে বলে শুনেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয়দের মতে জাহেদ ভারত সীমান্ত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিল। হয়তো কোনো কিছু আনতে গিয়ে নদীতে ডুবে গেছে। আবার কেউ বলছেন বিএসএফ'র দৌঁড়ানিতে জাহিদ নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি বিজিবি সঠিক বলতে পারবে, তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, ফেনী নদীর আমলীঘাট সীমান্তে নিখোঁজ হওয়া যুবক উদ্ধারের জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। পরে বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসা তিনজন ডুবুরিও অভিযানে অংশ নেয়।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ফেনী নদীতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে নিহতের সঠিক কারণ জানা যাবে।
এসআই