বরগুনার পাথরঘাটায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা

  • বরগুনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

বরগুনা: বরগুনা পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ধরে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫৫)  ওরফে পিলার শহিদ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। 

শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া এলাকার একচল্লিশ ঘর নামক স্থানে শহিদুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন।

নিহত শহিদুল ইসলাম হাওলাদার একই এলাকার মৃত বাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। নিহত শহিদের স্বজনরা  জানান, রাত দশটার দিকে জ্ঞানপাড়ার বান্দাঘাটা এলাকায় মহাজন বনি আমিনের সাথে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বাড়িতে আসার পথে মন্নান বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস (৩৫), জাকির বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাস (২৫), নুরু মল্লিকের ছেলে আব্বাস মল্লিক(৪০) সহ ৫/৬ জন পথিমধ্যে পেয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাশিদা তানজুম হেনা জানান, রাত দেড়টার দিকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে প্রায় বিশটির মতো ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও পায়ের রগ কাটা ছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত শহিদুল স্বজনরা  জানান, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তাকে খুন করা হয়েছে। এর আগেও নির্বাচনী জের ধরে জাকির বিশ্বাস, নাসির বিশ্বাস, রুবেল বিশ্বাস, সোবহান বিশ্বাস, মুসা, ইসা, সোহেল বিশ্বাস, সোহেল, বাবু, আবুল, আলাউদ্দিন, আরাফাত সহ বেশ কয়েকজন মিলে কয়েকদিন আগে নিহত শহিদের মেয়ে তানিয়ার ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এনামুল ইসলামের লোকজনের এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি, এক চল্লিশ ঘর, বান্দাঘাটা, জ্ঞানপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে শহিদকে হত্যা পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ। 

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন জানান, কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট লেখা শেষে ময়নাতদন্তে বরগুনায় প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫-৬ জনকে আটক করা হয়েছে। 

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মৃত শহীদ কর্তৃক পূর্বেই মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলা চলমান আছে। শহিদুল ইসলামের হত্যাকারীদের আটক করতে রাত থেকেই অভিযান চলছে। শহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে‌।

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। আমি খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পাথরঘাটার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি। এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানা পুলিশকে বলেছি।

এআর